এবোলা: সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা

প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সিয়েরা লিওন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2014, 12:17 PM
Updated : 8 August 2014, 02:52 PM

মারাত্মক এ ভাইরাসের উৎসস্থলগুলোকে আলাদা করে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জোরালো ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কাজে নামানো হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই কোরোমা।

প্রতিবেশী দেশ লাইবেরিয়াতেও এবোলা সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার সন্ধ্যায় একই ধরনের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল। তাছাড়া, কিছু কিছু সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করে রাখার কথাও বিবেচনা করছে লাইবেরিয়া।

এবোলা সঙ্কটের কারণে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে অংশ নিতে ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট কোরোমা। এর পরিবর্তে গিনিতে শুক্রবার জরুরি বৈঠক করবেন তিনি। একই পদক্ষেপ নিয়েছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টও।

পশ্চিম আফ্রিকার গিনি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে ফেব্রুয়ারি থেকে এবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এ পর্যন্ত ৬৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কোরোমা বলেন, পুলিশ ও সেনারা এবোলা ভাইরাসের উৎসস্থলগুলোতে মানুষের যাতায়াতের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে। যাতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কোনো হামলার শিকার না হয়।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নতুন এবোলা-প্রতিরোধী পদক্ষেপের আওতায় বিমানবন্দরের যাত্রীদেরকে হাত ভালভাবে ধুতে হবে, পরীক্ষা করতে হবে দেহের তাপমাত্রা।

পশ্চিম আফ্রিকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি এবোলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে সিয়েরা লিওনের অন্যতম সেরা চিকিৎসক শেখ উমর খান নিজেই এবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। মানবদেহের তরল বর্জ্য যেমন থুথু, ঘাম ইত্যাদির মাধ্যমে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। প্রথম দিকে আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশই মারা যাচ্ছিলেন, তবে এখন তা কমে ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে।