হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দিয়েফ এক অডিও বার্তায় বলেন, তার সৈনিকরা ‘শহীদ’ হতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলের তুমুল ধ্বংসযজ্ঞের পর হামাসের পক্ষ থেকে এই বার্তা এলো।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিলিস্তিনে ঈদের দিনে দুই পক্ষই লড়াইয়ে বিরত থাকলেও পরদিন ইসরায়েলি বাহিনী দিনভর গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে যায় , যাতে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বিদ্যুৎ পেত গাজাবাসী। এছাড়া মিশর এবং ইসরায়েল থেকে আরো কিছু বিদ্যুৎ আসে।
ইসরায়েলি হামলায় এই একদিনেই অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ২৩ দিন ধরে চলা এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জাতিসংঘ কর্মীরাও। ইসরায়েলের এক সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, এ হামলা হামাসের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ানোরই সঙ্কেত।
সোমবার টেলিভিশনে এক বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করার ওপর জোর দেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গাজায় অস্ত্রবিরতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকলেও ইসরায়েল ও হামাস যার যার লক্ষ্যে অটল।
মোহাম্মদ দিয়েফের বার্তায় বলা হয়, “কোনো শর্তে অস্ত্রবিরতি আমরা মানব না। ইসরায়েলের আগ্রাসন আর অবরোধের অবসান না হলে কোনো অস্ত্রবিরতি নয়।”
ইসরায়েল ও মিশর ২০০৭ সাল থেকে গাজা ভূখণ্ডে পণ্য পরিবহনের ওপর অবরোধ চালিয়ে আসছে।