বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ‘ভুল করে’

ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের অধিকৃত এলাকায় বিধ্বস্ত মালয়েশীয় বিমানটিকে বিদ্রোহীরা ভুলবশত গুলি করেছিল বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2014, 10:05 AM
Updated : 23 July 2014, 10:26 AM

আর এ ঘটনার সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নাম প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এসব কথা জানান বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তারা জানান, তাদের কাছে বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করার “সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা” হল বিদ্রোহীরা যাত্রীবাহী বিমানটিকে অন্য একটি বিমান বলে ভুল করেছিল।

একজন কর্মকর্তা বলেন, “পাঁচদিন ধরে এর পেছনে লেগে থেকে মনে হয়েছে, একটি ভুল থেকে এমন হয়েছে।”

তবে এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য রাশিয়া দায়ী বলে মনে করেন তারা।

“এটি খাঁটি সত্য যে এসএ-১১ ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ব ইউক্রেইন থেকে ছোঁড়া হয়েছিল এবং বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ক্ষমতা রুশরাই তৈরি করে দিয়েছিল,” বলেন আরেকজন কর্মকর্তা।

তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এসএ-১১ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে দায়ী বলে বিশ্বাস করা হলেও এর সঙ্গে রুশদের সরাসরি জড়িত থাকার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তারা।

ওই কর্মকর্তারা আরো জানান, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ইউক্রেইনের বিদ্রোহীদের কাছে এসএ-১১ ক্ষেপণাস্ত্র আছে, এই তথ্যটিই যুক্তরাষ্ট্রের জানা ছিল না।

যে সব তথ্য তারা খুঁজে পেয়েছেন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পোস্ট ও সম্প্রতি ছাড়া কিছু ভিডিওর ভিত্তিতে বের করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

১৭ জুলাই পূর্ব ইউক্রেইনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার আকাশে মালয়েশীয় বিমানটিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ‘ভূপাতিত’ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ভূমি থেকে ৩৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল বিমানটি।

এতে বিমানে থাকা ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।

এই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বিদ্রোহী ও রুশদের দায়ী করলেও তারা উভয়ে দায় অস্বীকার করে ইউক্রেইনের সরকারি বাহিনীর ওপর দায় চাপিয়েছে।

এত ওপর থেকে বিমান নামানোর মতো কোনো প্রযুক্তি তাদের কাছে নেই বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা।