ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইরাককে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 01 Jul 2014, 12:34 PM
ইরাক ও সিরিয়ার দখলকৃত অংশে আইএসআইএল’র ইসলামি রাষ্ট্র ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার এ অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় যুদ্ধরত ইরাককে ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করে পশ্চিমা পরাশক্তিটি।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট বলেন, “এটি সন্ত্রাসের প্রচারণা বা সহিংসতার স্থূল নমুনা এবং চরম নিয়ন্ত্রণবাদী ধ্যান-ধারণা যা ইরাকের ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ হুমকি।”
“দাবি করলেও আইএসআইএল সুন্নিদের পক্ষে লড়ছে না, আইএসআইএল শক্তিশালী ইরাক প্রতিষ্ঠার জন্যও লড়াই করছে না, আইএসআইএল ইরাককে ধ্বংস করার জন্য লড়াই করছে।”
“ইরাকের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য সবাইকে নিয়ে একটি বহুমুখী সরকার গঠনে” ব্যর্থতার জন্য তিনি ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি সরকারের প্রতি “অসন্তোষ” প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “অস্তিত্বের এই হুমকি” মোকাবিলার জন্য ওয়াশিংটন মালিকি সরকারসহ ইরাকের অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একটি বহুমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ইরাকের পরবর্তী সরকারের তিনটি শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ পদ-পার্লামেন্টের স্পিকার, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরাকি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আর্নেস্ট বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১ জুলাই নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে তারা সরকার গঠনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করছি আমরা।”
“আমি আপনাদের জানাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব ইরাককে এফ-১৬ বিমান দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এই শরতেই দুটি বিমানের প্রথম চালানটি পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইরাকে ৩০০ সামরিক বিশেষজ্ঞ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র, যাদের একটি অংশ ইতোমধ্যেই দেশটিতে পৌঁছে কাজ শুরু করে দিয়েছে।