মঙ্গলবার করাচিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গণমাধ্যম গোষ্ঠীটি আইএসআই’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদ মীরের ওপর হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আইএসআই’র মহাপরিচালক লে জে জহিরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে নীতিমালা ভঙ্গ করেছে সংবাদ চ্যানেলটি। ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব সম্প্রচারের সঙ্গে যারা যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।”
শনিবার পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ সাংবাদিক হামিদ মীরের ওপর করাচিতে হামলা চালানো হয়। করাচি বিমানবন্দর থেকে কর্মস্থল জিয়ো টিভি’র দপ্তরে যাওয়ার সময় তার গাড়ি লক্ষ করে গুলিবর্ষণ করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। গুলিতে আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান মীর।
মীরের ওপর এই হামলার পর পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে আইএসআই’র সন্দেহজনক ভূমিকা নিয়ে নজিরবিহীন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। জিয়ো টিভি’র প্রেসিডেন্ট ইমরান আসলাম সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার জন্য প্রকাশ্যে আইএসআই’কে অভিযুক্ত করে এর তদন্ত দাবি করেন।
হামলাটি আইএসআই’র পরিকল্পনাতেই হয়েছে, মীরের পরিবারও এমন অভিযোগ করে।
জিয়ো টিভিতে চলতি ঘটনা নিয়ে একটি টক শো উপস্থাপনা করেন হামিদ মীর। মুখ্য সময়ে সম্প্রচারিত এই টক শো’টি দেশটিতে দারুণ জনপ্রিয়।
এই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করেছে পাকিস্তান সরকার। দায়ীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে গ্রেপ্তারে সহায়তা করার জন্য ১ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
মীরা “সজাগ আছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল” বলে জানিয়েছেন করাচির আগা খান হাসাপাতালের এক মুখপাত্র।
তালেবান গোষ্ঠীর সমালোচনাকারী পাকিস্তানের আরেক উদারপন্থী সাংবাদিক রাজা রুমি’কে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হত্যা চেষ্টার একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে হামিদ মীর’কে হত্যার চেষ্টা করা হল।