বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ৪৬২ যাত্রী নিয়ে উল্টে যায় ফেরিটির অধিকাংশ যাত্রীই ছিল স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
সরকারি কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত ১৭৯ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। লাশ পাওয়া গেছে আরো ৯ জনের। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে। কম বয়সী স্কুল শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে নিখোঁজরা জাহাজের ভেতরে আটকা পড়েছে বলে ধারণা উদ্ধারকারী দলের।
কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ৬৯ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন লি জন সেওককে তারা উদ্ধারের পরই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তার বিরুদ্ধে এখন একটি ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে। ফেরি দুর্ঘটনার পেছনে তার খামখেয়ালি বা দায়িত্বে অবহেলা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
কোস্টগার্ডের কাছে আটক জাহাজের চালকের একটি ফুটেজ গতকাল কোরিয়ার একটি টেলিভিশনে দেখানো হয়। সেখানে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেও দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেন নি। তদন্ত সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ক্যাপ্টেন লি ওই জাহাজের আসল চালক নন। দুর্ঘটনার দিন তিনি মূল চালকের বদলি হিসেবে সমুদ্র যাত্রা করেছিলেন। তবে ৪০ বছর ধরে সমুদ্রযান পরিচালনায় অভিজ্ঞ ওই চালক একই পথে আগেও বিভিন্ন জাহাজ নিয়ে ভ্রমণ করেছেন।
ওদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়, খারাপ আহ্বাওয়া, তীব্র স্রোত ও কাদাযুক্ত পানির কারণেউদ্ধার তৎপরতা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জরুরি উদ্ধার দলের কর্মীরা এখনো নিখোঁজদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। আরো কাউকে জীবিত পাওয়া যায় কিনা সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।