দক্ষিণ কোরীয় ফেরি ডুবি: এখনো নিখোঁজ ২৯০

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে ৪৬২ জন আরোহী নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটির ২৯০ জন আরোহী শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। এদের অধিকাংশই একই স্কুলের শিক্ষার্থী।

>>রয়টার্স
Published : 17 April 2014, 08:35 AM
Updated : 17 April 2014, 08:36 AM

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ এসব আরোহীদের উদ্ধারে দক্ষিণ কোরীয় উপকূলরক্ষী ও নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান আবার শুরু করেছে।

দুর্ঘটনাটিতে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহতের লাশ পাওয়া গেছে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেরিটি পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর ইনচিওন থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে বাইউঙ্গপুঙ দ্বীপের উপকূলে ফেরিটি ডুবে যায়।

ফেরিটিতে রাজধানী সিউলের দক্ষিণের ডানওন স্কুলের ৩৪০ জন কিশোর শিক্ষার্থী ও তাদের শিক্ষকরা ছিল। কোরীয় উপদ্বীপ থেকে ১শ’ কিলোমিটার দক্ষিণের জেজুর উদ্দেশ্যে এক শিক্ষা সফরে রওয়ানা হয়েছিল তারা।

নিখোঁজ আরোহীদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী উপকূলীয় শহর জিন্দোতে জড়ো হয়ে গভীর উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

তাদের কেউ কেউ উদ্ধার কাজের ধীরগতি ও দেরী করে শুরু করার অভিযোগ করে দেশটির সরকারের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

জিন্দোর উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফেরিটি যেখানে ডুবেছে সেখানে কোরীয় উপকূলের মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী স্রোত সক্রিয় রয়েছে। এতে সব প্রস্তুতি নিয়েও দিনের কয়েক ঘন্টা প্রায় ডুবে যাওয়া ফেরিটিতে উদ্ধারকাজ চালানো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

২০ বছর আগে জাপানে নির্মিত ৬,৫৮৬ টনের ৯শ’ যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সেউল নামের ফেরিটি কেন ডুবে গেল তা জানা যায়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।