সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে প্যারিসের রাস্তায় শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিন শুধু বেজোড় রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী গাড়িগুলোই রাস্তায় নামতে পারবে, আর এটি তদারকি করতে কাজ করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিধিনিষেধ বজায় থাকলে, শুধু জোড় রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী গাড়িগুলো রাস্তায় নামবে, আর বেজোড়গুলো গ্যারেজে অপেক্ষা করবে। মোটর সাইকেলগুলোও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
তবে বিদ্যুৎ চালিত এবং হাইব্রিড গাড়িগুলো ওপর এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না এবং তিনজন থেকে শুরু করে এর বেশি যাত্রী পরিবহন করা গাড়িগুলোও এর আওতামুক্ত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞাটি সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে কার্যকর শুরু হয়েছে, চলবে ওইদিন মধ্যরাত পর্যন্ত।
নির্দেশ অমান্যকারী গাড়িগুলোকে জরিমানা করা হবে।
পরিকল্পনাটি সফল করতে, সোমবার জোড় নম্বরের গাড়িগুলোর জন্য ফ্রি-পার্কিং সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার থেকে পাবলিক সার্ভিসের যানগুলো ব্যবহারের খরচ তিনদিনের জন্য ফ্রি করে দিয়েছে সরকার। সোমবার পর্যন্ত এ সুবিধা কার্যকর থাকবে। ব্যক্তিগত গাড়িগুলো বাসায় রেখে আসা উৎসাহিত করতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পাঁচদিন ধরে প্যারিস ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর বায়ুদূষণ নিরাপদ মাত্রা অতিক্রম করার পর দেশের মন্ত্রিসভা এ নির্দেশ জারি করে।
শীতল রাত ও উষ্ণ দিনের কারণে কুয়াশা প্যারিসজুড়ে জেঁকে বসেছে। আর এরফলে দূষিত বায়ু শহরটি থেকে সরে যেতে পারছে না।
এর আগে ১৯৯৭ সালেও শহরটিতে এ রকম নির্দেশ জারি করে দূষণ পরিস্থিতি মোকবিলার চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্যারিসের বায়ু-মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ারপ্যারিফ বলেছে, এই পদ্ধতি প্রয়োগে বায়ুর মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।
তবে এয়ারপ্যারিফের এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে আসছেন সমালোচকরা।