‘মহাবিশ্বে বাসযোগ্য কোটি পৃথিবী’

আমাদের আকাশ গঙ্গা ছায়াপথে (মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি) সূর্যের মতো প্রতি পাঁচটি নক্ষত্রের মধ্যে একটির পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ আছে। পৃষ্ঠে পানি থাকার মতো উপযুক্ত অবস্থানে থাকায় এসব গ্রহে প্রাণ আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

>>রয়টার্স
Published : 5 Nov 2013, 07:09 AM
Updated : 5 Nov 2013, 07:16 AM

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা এক গবেষণার ফলাফলে এ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।

পানি হচ্ছে প্রাণের প্রধান শর্ত। পানির কারণেই পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে ও বিকাশের মাধ্যমে প্রাণ প্রাচুর্য তৈরি হয়েছে। পানি না থাকলে প্রতিবেশী মঙ্গল ও শুক্রের মতোই প্রাণহীণ ঊষর গ্রহ হয়ে থাকতো পৃথিবী।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসা’র কেপলার মহাশূন্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে রোমাঞ্চকর অনেকগুলো বিষয় জানা গেছে। তিন বছরের মধ্যে সংগ্রহ করা তথ্যগুলো বলছে, আকাশ গঙ্গা ছায়াপথে পৃথিবীর মতো এক হাজার কোটি বাসযোগ্য গ্রহ আছে।

এসব বাসযোগ্য গ্রহের মধ্যে লোহিত বামন নক্ষত্রের গ্রহজগতে থাকা বাসযোগ্য গ্রহগুলো ধরা হয়নি। সেগুলো ধরলে বাসযোগ্য গ্রহের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হয়। কারণ আকাশ গঙ্গা ছায়াপথে এ ধরনের নক্ষত্রের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

প্রত্যেকটি নক্ষত্রের গ্রহজগতের সদস্যরা ব্যতিক্রম না হয়ে সৌরজগেতের গ্রহগুলোর মতোই একই ধারাবাহিকতা মেনে চলে বলে জানিয়েছেন তথ্য বিশ্লেষণকারী গবেষক দলের নেতা এরিক পেটিগুরা।

এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী নক্ষত্রের আকার অনুযায়ী আনুপাতিকভাবে পৃথিবীর মতো দূরত্বে থাকা গ্রহগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে।

পেটিগুরা এরকম ১০টি গ্রহ খুঁজে পেয়েছেন যেগুলো পৃষ্ঠে পানি থাকার মতো সঠিক দূরত্বে থেকে নিজ নিজ কেন্দ্রীয় নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করছে। এই দশটি গ্রহে প্রাণের উৎপত্তি ও বিকাশের মতো প্রয়োজনীয় পরিবেশ আছে বলে জোরালো ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।

বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র পেটিগুরা ও তার সহকর্মীরা আরো বের করেছেন, আকাশ গঙ্গা ছায়াপথে সূর্যের মতো ৫ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে।

এসব নক্ষত্রের মধ্যে ২২ শতাংশের প্রায় পৃথিবীর মতো আকারের গ্রহ আছে। নক্ষত্রের গ্রহজগতের মধ্যে এগুলোর অবস্থান পানি থাকার মতো উপযুক্ত জায়গায়।