‘শুয়ে থেকেই পাবেন ৫ হাজার ডলার’

৭০ দিন বিছানা থেকে একদম ওঠা যাবে না। আর এজন্য আপনি প্রতি মাসে পাবেন ৫ হাজার মার্কিন ডলার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2013, 07:55 AM
Updated : 19 Sept 2013, 08:00 AM

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মহাশূন্যচারীদের ওপর গবেষণার অংশ হিসেবে এ ধরনের একটি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে যাতে অংশগ্রহণকারীদের বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

মাইক্রোগ্রাভিটিতে দীর্ঘসময় থাকার ফলে নভোচারীদের শরীরে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে সেটি নিয়ে গবেষণার অংশ হিসেবে নাসা এই ‘দ্য বেড রেস্ট স্টাডি’ কার্যক্রমের আয়োজন করেছে।

এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের আনুভূমিক হয়ে ৭০ দিন থাকতে হবে। মহাকাশে ওজনশূন্য পরিস্থিতিতে নভোচারীদের অবস্থার আরো উন্নতি করাই এই বেড রেস্ট স্টাডি কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

জনসন স্পেস সেন্টারে নাসার ফ্লাইট এনালগজস প্রজেক্ট টিম এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এখন পর্যন্ত কক্ষপথে এ ব্যাপারে বড় ধরনের গবেষণা চালানো সম্ভব হয়নি। আর পৃথিবীতে মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব অবশ্যই কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করতে হবে।

নাসার ওয়েব সাইটে ‘মেডিকেল ডেইলি’ প্রতিবেদনে বলা হয়, “এই গবেষণায় দেখানো হবে আপনার শরীর সামান্য কাত হয়ে মাথা নিচে ও পা ওপরে দিয়ে কতক্ষণ থাকতে পারে। ৭০ দিন, ২৪ ঘণ্টা শুধুমাত্র কয়েকটি বিশেষ পরীক্ষা করার সময় ছাড়া বিছানা থেকে একদমই ওঠা যাবে না। এটা অনেকটা মহাকাশ যানে নভোচারীদের শরীর যেরকম ওজনশূন্য অবস্থায় থাকে তার মতো।“

“আপনার সাহায্য নিয়ে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবে ভবিষ্যতে মহাকাশযানে ওজনশূন্য অবস্থায় নভোচারীদের শরীরে কি ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।“
এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের ‘এক্সারসাইজিং সাবজেক্ট’ ও ‘নন-এক্সারসাইজিং সাবজেক্টে’ ভাগ করা হবে।

গালভেস্টনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকেলে ‘এক্সারসাইজিং সাবজেক্ট’ কে ১০৫ ও ‘নন-এক্সারসাইজিং সাবজেক্ট’ কে ৯৭ দিন থাকতে হবে।

এই কার্যক্রম তিনটি পর্যায়ে পরিচালিত হবে। প্রথম পর্যায় ‘অ্যামবুলেটরি পিরিয়ড’ যেখানে উভয় দল বেড রেস্ট সুবিধার মধ্যে স্বাধীনভাবে চারিদিকে নড়াচড়া করতে এবং স্বাভাবিক কাজ করতে পারবে।

দ্বিতীয় পর্যায় ‘বেড রেস্ট পিরিয়ড’ যেখানে অংশগ্রহণকারীদের ৭০ দিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে। এ সময় শরীর কিছুটা ঝুঁকে পা ওপরে ও মাথা নিচে থাকবে।

শেষ পর্যায় ‘রিকোভারি পিরিয়ড’ যেটা গবেষণার শেষ ১৪ দিন চলবে। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা আবার প্রথম পর্যায়ের মতো স্বাধীনভাবে নড়াচড়া করতে পারবে।

গবেষণার সময় অংশগ্রহণকারীদের হাড়, মাংসপেশী, হৃদযন্ত্র, রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া, স্নায়ুর কার্যক্রম, পুষ্টির অবস্থা এবং সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অথবা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী হতে হবে।