ভারতে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারীকে যৌতুকের জন্য প্রাণ দিতে হয়। নারী অধিকার সংস্থাগুলো মনে করে, দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যৌতুক প্রথা যেন আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে দ্য ডন জানিয়েছে।
Published : 10 Sep 2013, 03:25 PM
দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য মতে, গত বছর পুরো ভারতজুড়ে বর বা তার পরিবারকে কনের পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় আট হাজার দুইশ’ তেত্রিশজন নারীকে জীবন দিতে হয়েছে।
গত সপ্তায় প্রকাশিত পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, যৌতুক সংক্রান্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৩২ শতাংশেরও কম। যদিও ভারতের আইনে যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শত বছর ধরে দেশটির সমাজ ব্যবস্থায় এ প্রথা চলে আসছে।
বিয়ের পরও বছরের পর বছর ধরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চলতে থাকে। পর্যাপ্ত যৌতুক দেয়া হয়নি এই অভিযোগে প্রতিবছর ভারতে হাজার হাজার তরুণীকে বর বা তার পরিবার কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে।
নারী অধিকার সংগঠন ও পুলিশ জানিয়েছে, যৌতুক আইনে জটিলতা, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও শাস্তি পাওয়ার হার কম হওয়ায় যৌতুক সংক্রান্ত অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নারী অধিকার কর্মী রঞ্জনা কুমারী বলেন, “অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে যৌতুকের চাহিদা আরো জোরদার ও ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে।“
ভারতের তরুণ প্রজন্মের বিদেশি জিনিসপত্র পাওয়ার প্রতি প্রচণ্ড লোভ কিন্তু তা পাওয়ার সামর্থ্য না থাকা যৌতুক প্রথাকে আরো উসকে দিচ্ছে বলে মনে করেন রঞ্জনা।
“বিয়ে এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। বর এবং তার পরিবারের মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা দেখে মনে হয় এটা তাদের ব্যবসা। আর পরিবার যত ধনী তাদের চাহিদাও ততো বেশি।“
দিল্লি পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুমন নালওয়া যিনি নারীদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে কাজ করেন তিনি বলেন, “এমনকি উচ্চ শিক্ষিত পরিবারও যৌতুককে না বলে না।“