টোকিও, নভেম্বর ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- বাঘ তার চামড়া ও হাড়ের কারণে আজ এক বিপণ্ণ প্রাণী। নানা কারণেই বাঘের চামড়া ও হাড়ের চাহিদা রয়েছে। উচ্চমূল্যে বেচাকেনা হয় এসব।
আর সে কারণেই গত এক দশকে চোরাকারবারীদের হাতে ১ হাজারেরও বেশি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে ১০৪ থেকে ১১৯ টি বাঘ হত্যা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাফিক ইন্টারন্যাশনালের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ট্রাফিক ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, চীন, নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ায় বাঘের দেহের বিভিন্ন অংশের হাড় যে পরিমাণ উদ্ধার হয়েছে ভারতে উদ্ধার হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার (ডব্লিউডব্লিউএফ)-এর সহায়তায় ট্রাফিক ইন্টারন্যাশনাল এই জরিপ করে।
এই জরিপ প্রতিবেদনের লেখক পলিন বারহেজ বলেন, "চামড়া ও হাড়ের পরিমাণ দেখে অনুমান করা যায় শতাধিক বাঘের শরীরের নানা অংশ প্রতিবছর ধরা পড়ছে। আর এ থেকেই একজন ধারণা করতে পারে, কত সংখ্যক বাঘ প্রতিবছর হত্যা করা হচ্ছে।"
বারহেজ হচ্ছেন ট্রাফিক ইন্টারন্যাশনাল ও ডব্লিউডব্লিউএফ-এর যৌথভাবে পরিচালিত 'টাইগার ট্রেড প্রোগ্রামের' ব্যবস্থাপক।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি জানিয়েছে, এশিয়ার বাঘের সংখ্যা লোপ পেতে যাচ্ছে। বর্তমানে এ সংখ্যা ৩ হাজার ৫শ'র কিছু বেশি হবে।
উদ্ধার হওয়া প্রায় ৪৮১টি হাড় ও চামড়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কমপক্ষে ১০৬৯ থেকে ১২২০টি বাঘ হত্যা করা হয়েছে।
এ হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর গড়ে ১০৪ থেকে ১১৯ টি বাঘ হত্যা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি তার জরিপ প্রতিবেদনে বলেছে, এই হিসাব সম্পূর্ণ বাঘ ও বাঘের হাড়-চামড়া চোরাকারবারের ছোট একটি পরিসংখ্যান মাত্র।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/সিআর/কেএমএস/১২১৯ ঘ.