জাতিসংঘে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধি অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অশান্তির পরিবেশের জন্য ভারতই দায়ী।
ভারত শিকারির মতো মনোভাব দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে মালিহা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা এড়াতে চাইলে তাদেরকে অবশ্যই নয়াদিল্লিকে উস্কানিমূলক কথা বলা এবং আগ্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলতে হবে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বন্ধ করতে বলতে হবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দেওয়াও বন্ধ করতে বলতে হবে।”
এনডিটিভি জানায়, “শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, "আমরা আইআইটি, আইআইএম, এইমস তৈরি করেছি। পাকিস্তান তৈরি করেছে লস্কর, জইশ-ই-মহম্মদ। আমরা লড়ছি দারিদ্রের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশীর লড়াইটা যেন শুধু আমাদের সঙ্গেই।"
এর আগে পাকিস্তানকে ‘টেররিস্তান’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন ভারতের শীর্ষ কূটনীতিক এনাম গম্ভীর। জঙ্গিদের মদদ দেওয়া নিয়ে ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশও।
ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়তে থাকা পাকিস্তান সুষমার সর্বশেষ বক্তব্যের পাল্টা জবাবে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল।
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনী বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ধৃত ভারতীয় চর কুলভূষণ যাদব পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠন চালানোর কথা স্বীকার করেছেন বলেও এদিন দাবি করেন পাকিস্তানি দূত মালিহা লোধি।
ভারত তার সব প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসে মদদ দিচ্ছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করছে এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতায় মদদ দিচ্ছে বলেও মালিহা অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার জাতিবিদ্বেষী ও ফ্যাসিস্ট মতাদর্শ মেনে চলছে।