আবু সায়েফের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার ৭

জঙ্গিগোষ্ঠী আবু সায়েফের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ফিলিপিন্সের সাত নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়া।

>>রয়টার্স
Published : 21 Sept 2017, 06:13 AM
Updated : 21 Sept 2017, 06:13 AM

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কুয়ালালামপুর ও রাজধানী শহরটিকে ঘিরে থাকা সেলাঙ্গর রাজ্যে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ করছিল বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে মালয়েশীয় পুলিশ।

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা আবু সায়েফ ফিলিপিন্সের অস্থিরতা কবলিত দক্ষিণাঞ্চলে তৎপর একটি কট্টরপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী। বোমাহামলা, শিরশ্ছেদ, চাঁদাবাজি, মুক্তির পণের জন্য অপহরণ ইত্যাদি তৎপরতার জন্য গোষ্ঠীটি কুখ্যাত।

এক বিবৃতিতে মালয়েশীয় পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ ফুজি হারুন বলেছেন, “২২ বছর বয়সী এক সন্দেহভাজন আবু সায়েফ গোষ্ঠীর সদস্য ছিল। ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলের সে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ও জিম্মি অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।”

মে মাসে আবু সায়েফের একটি অংশের সহায়তায় ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারাওয়ির বড় একটি অংশ দখল করে নেয় কট্টরপন্থিরা। তারপর থেকে শহরটিতে চলা লড়াইয়ে প্রায় ৬৭০ জন জঙ্গি ও ১৪৯ জন সৈন্য নিহত হন।

গত মাসে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গেমসের সমাপনী অনুষ্ঠানের সময় আবু সায়েফের এক সদস্যের হামলা চালানোর পরিকল্পনা উদঘাটন করেছিল মালেয়েশীয় পুলিশ। ওই পরিকল্পনার সূত্রধরে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

গ্রেপ্তারদের সবাই ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় এসেছিল। তারা সবাই বোর্নিও দ্বীপের সাবাহ রাজ্যের সান্দাকান শহর হয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিল। সান্দাকান শহরটি ফিলিপিন্সের দক্ষিণ উপকূলের নিকটবর্তী শহর।

পরে তারা জাল কাগজপত্র বানিয়ে সেগুলো ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার রাজধানীতে এসে উপস্থিত হন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ফুজি। 

২০১৩ সাল থেকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনশরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চলতি বছর দেশটির পুলিশ ৪১ জন বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে আইএস অবস্থান হারানোর পর গোষ্ঠীটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের অবস্থান সংহত করার চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করছে ওই এলাকার সরকারগুলো। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণে সম্ভাব্য জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।