ধর্ষণের বদলা ধর্ষণ। এমনই বর্বর সালিশী আদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত।
Published : 27 Jul 2017, 05:39 PM
আর সে আদেশ মেনে ধর্ষক ভাইয়ের অপরাধে জনসম্মুখে ধর্ষণ করা হয় তার কিশোরী বোনকে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুলতানের মুজাফফরবাদে। ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করায়, ধর্ষকের ১৬ বছরের কিশোরী বোনকে ধর্ষণের আদেশ দেয় জির্গা (গ্রাম পঞ্চায়েত)।
পুলিশ এমন আদেশ দেওয়ার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, দুই কিশোরীর পরিবার একে অপরের আত্মীয়। ১২ বছরের কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে তারই জ্ঞাতি ভাই।
এ ঘটনার পর এ মাসের শুরুর দিকে জির্গাতে অভিযোগ জানান ধর্ষিতার ভাই। আর তখনই জির্গা অভিযোগকারীকে নির্দেশ দেয় অভিযুক্ত ধর্ষকের ১৬ বছরের বোনকে ধর্ষণ করতে।
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই আদেশ অনুযায়ী, কিশোরীটিকে জোর করে ধরে এনে গ্রামবাসী এবং বাবা-মায়ের সামনে ধর্ষণ করা হয়।
পরে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে দুই ধর্ষিতার মায়েরা অভিযোগ দায়ের করেন।
২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে ১২ বছরের কিশোরীটিকে ধর্ষণকারী ব্যক্তি এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে জির্গার মতো গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায়ই সম্মান রক্ষার্থে হত্যা কিংবা ধর্ষণের বদলে ধর্ষণের মত বিতর্কিত আইনে বিরোধ মীমাংসা করা হয়ে থাকে। যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
২০০২ সালে ২৫ বছর বয়সী মুখতার মাইকেও এভাবে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। কারণ, তার ১২ বছরের ভাই তার চেয়ে বেশি বয়সের এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল।
পরে মুখতার সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ধর্ষককে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।