বিচার বিভাগীয় সংস্কার বিলে ভেটোর ঘোষণা পোলিশ প্রেসিডেন্টের

পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বিচার বিভাগ সংস্কারে পার্লামেন্টে পাস হওয়া তিনটি বিলের দু’টিতে ভেটো দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2017, 11:50 AM
Updated : 24 July 2017, 11:50 AM

সরকারের আনা বিচার বিভাগ সংস্কারের এ বিলের বিরুদ্ধে টানা কয়েকদিনের বিক্ষোভের পর সোমবার তিনি এ ঘোষণা দিলেন।

বিলগুলো আইনে পরিণত হতে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন।

জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে দুদা বলেন, “প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি মনে করি না যে এ আইন বিচারের ধারণা পাকাপোক্ত করবে। এ আইনগুলো সংশোধন করতেই হবে।”

তিনি তিনটি আইনের দুটি তে ভেটো দিচ্ছেন এবং তৃতীয় আইনটি অনুমোদন করছেন বলে জানান। তৃতীয় আইনের আওতায় বিচারমন্ত্রী পোল্যান্ডের নিম্ন আদালতের প্রধানের নাম ঘোষণার অধিকার পাবেন।

পোল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থা খুব ধীরগতির এবং এর সংস্কারও জরুরি। কিন্তু যে আইনগুলো পাসের মধ্য দিয়ে এ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল তাতে বিচারমন্ত্রী এবং এমপিরা ব্যাপক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হত। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নও এ সংস্কার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।

সংস্কার বিলগুলো বাতিল করা না হলে ইউরোপীয় কমিশন এ সপ্তাহেই নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছিল।

পার্লামেন্টে পাস হওয়া তিনটি বিলের প্রথমটিতে বিচারমন্ত্রীকে বিচারক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বিচারক অপসারণ করার ক্ষমতাও তাকে দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয়টিতে সুপ্রিম কোর্টকে ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বিরোধীদের দাবি, এর ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে। এ পদক্ষেপ পোল্যান্ডে গণতন্ত্র অবসানের সূচনা হিসাবে বর্ণনা করে বিরোধিরা।

জনগণকে শান্ত করতে প্রেসিডেন্ট দুদা বলেন, “আপনারা সহিংসতার আশ্রয় নেবেন না। আপনারা রাস্তায় বিক্ষোভ করতে পারেন, অসন্তোষ প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু সহিংসতায় জড়াবেন না। আমার সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হতে পারে সেটি আমি স্বীকার করছি। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি যে, পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইনগুলো কার্যকর হবে না।”

তবে দুদার এ সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছে ক্ষমতাসীন ল এন্ড জাস্টিস পার্টির (পিআইএস) সরকার। তারা পাস হওয়া বিলগুলোকে প্রয়োজনীয় বিচার বিভাগীয় সংস্কার বলেই যুক্তি দেখাচ্ছে। এ বিলে ভেটো দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট দুদা দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ালেন।