বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিদেতো কিজিমা নামের ওই ব্যক্তি আমামি দ্বীপে যাওয়ার বিমানে বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে উঠেছিলেন।
কিন্তু ফেরার সময় নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে জাপানের ভ্যানিলা এয়ারলাইন্সের কর্মীরা কিজিমাকে কোনো সাহায্য ছাড়াই বিমানের সিঁডির কয়েক ধাপ পেরুতে বলে, অন্যথায় তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না বলে জানায়।
এতে কিজিমা হুইলচেয়ার থেকে নেমে হাতের সাহায্যে হামাগুড়ি দিয়ে বিমানটির কয়েকটি সিঁড়ি অতিক্রম করতে বাধ্য হন।
কিজিমা একজন অভিজ্ঞা ভ্রমণকারী। তিনি জাপানের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিসেবল ট্যুরিস্ট সেন্টারের প্রধান। এই প্রতিষ্ঠানটি জাপানে আসা পর্যটকদের আগমণের সময় যেসব অসুবিধা পোহাতে হয় সেগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে।
কিজিমা জানান, ১৯৯০ সালে স্কুলে রাগবি খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে পক্ষাঘাতের শিকার হন তিনি। এরপর থেকে অন্তত ১৫৮টি দেশের ২০০ বিমানবন্দর পার হয়েছেন তিনি, কিন্তু কোথাও এমন অদ্ভূত নির্দেশনার মুখোমুখি হতে হয়নি তাকে।
“তাদের এই কঠোর নিয়মকানুনে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম, বিমানটির কর্মীরা কি একবারও বোঝেনি, তারা ভুল করছে,” নিপ্পন টিভিকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন তিনি।
ঘটনার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে জাপানের ভ্যানিলা এয়ারলাইন্স। তারা আমামি দ্বীপ বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন একটি বিশেষ চেয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।