রোববারও নিখোঁজ থাকা শতাধিক ব্যক্তির সন্ধানে কাদা ও পাথরের ধংসস্তূপের নিচে উদ্ধারকারীরা অভিযান চালাচ্ছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এক দম্পতি ও তাদের দুইমাস বয়সী শিশুকে জীবিত উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে কাউকে জীবিত উদ্ধার করা আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এখনো আরও অন্তত ১০৯ জন নিখোঁজ বলে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থা। কিন্তু জীবিত আর কাউকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
নিখোঁজদের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়েছে।
ভূমিধসপ্রবণ শিনমোতে প্রায়ই অতিবৃষ্টির কারণে ধসের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদিও শনিবারের ধস ছিল 'নজিরবিহীন'।
ধসের পর উ নিজেও ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
"আমরা দুজন লোককে তুলেছি, পরে দেখি তারা মৃত। আমার ধারণা অনেক দেরি হয়ে গেছে। মনে হয়না আর কাউকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হবে," বলেন তিনি।
উ-র স্ত্রী ঝ্যাং ঝিওহ্যাং জানান, তাদের গ্রামও ধসপ্রবণ এলাকায় পড়েছে। প্রায়ই তারা ধসের আশঙ্কায় অন্য গ্রামে গিয়ে অবস্থান নেন, কিন্তু দারিদ্রের কারণে রাজ্যের রাজধানী মাওজিয়ান কাউন্টিতে গিয়ে বসবাস করতে পারেন না।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে সিনহুয়া জানায়, পর্বতের ধসে পড়া মাটি ও পাথরে একটি নদীর দুই কিলোমিটারের মতো অংশ বন্ধ হয়ে গেছে।
কয়েক ঘণ্টার ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।