‘কনসার্টে হামলাকারী একটি চক্রে যুক্ত ছিল’

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার এরিনা কনসার্টে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি চক্রে জড়িত থেকে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন শহরটির পুলিশ প্রধান আয়ান হপকিন্স। ঘটনার তদন্তে এখন এই চক্রকেই খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

>>রয়টার্স
Published : 24 May 2017, 06:38 PM
Updated : 24 May 2017, 07:52 PM

ামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নতুন করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ম্যানচেস্টারের কেন্দ্রস্থলের একটি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। ওদিকে, লিবিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছে হামলাকারীর বাবা ও ছোট ভাই।

 তদন্ত খুব দ্রুতই এগুচ্ছে বলে জানিয়েছেন ম্যানচেস্টারের পুলিশ প্রধান হপকিন্স।

ম্যানচেস্টারে পুলিশ সদরদপ্তরের বাইরে হপকিন্স সাংবাদিকদের বলেন, “আমার মনে হয় একটি নেটওয়ার্ক নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে এটি পরিষ্কার। আর আমি এও বলেছি যে, দ্রুতগতিতে চুলচেরা তদন্ত চলছে এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টার জুড়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এর আগে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রুড জানিয়েছিলেন হামলাকারী সালমান আবেদি সম্প্রতি লিবিয়া থেকে ফিরেছিলেন। হামলায় আরও কেউ জড়িত থাকার ধারণা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের দেখা আগের কিছু হামলার তুলনায় সোমবারের হামলাটি অনেক বেশি পরিশীলিত ছিল। এ থেকেই মনে হচ্ছে যে, সে (আবেদি) একাই হামলাটি চালায় নি।”

আবেদির সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের সম্পর্ক থাকা এবং তার সিরিয়া ভ্রমণের তথ্যও ইতোপূর্বে জানিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার রাতের কনসার্ট শেষে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানার ভক্তরা চলে যেতে শুরু করার পরই আবেদি নিজেকে উড়িয়ে দেয় বলে ধারণা পুলিশের। এ হামলায় নিহত হয় ২২ জন এবং আহত হয় ৫৯ জন।

হামলায় বৃহৎ একটি নেটওয়ার্ক জড়িত থাকতে পারে এবং আরও হামলা আসন্ন সন্দেহে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনহাজার সেনা।

এছাড়া, হামলার ঘটনায় সালমান আবেদির ২৩ বছর বয়সী বড় ভাই ইসমায়েলকে মঙ্গলবার দক্ষিণ ম্যানচেস্টার থেকে আটক করা হয়েছে।

অন্যদিকে, লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনী আবেদির বাবা সালমান রমাদান এবং ছোট ভাই হাসেম আবেদিকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। হাসেম আবেদির সঙ্গে আইএস এর যোগ থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাবা রমাদানকে আটক করার কারণ জানা যায়নি।

ব্রিটেনে সব মিলিয়ে হামলার ঘটনায় আবেদির বড় ভাইসহ সোমবার রাত থেকে এ পর্যন্ত ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। উইগানে একটি প্যাকেজ বহনকারী এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। সেটি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।