সারিন হামলা চালিয়েছে আসাদ বাহিনী: ফ্রান্স

সিরিয়ার সরকারি বাহিনীই এ মাসের শুরুর দিকে দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে সারিন নার্ভ গ্যাস হামলা চালায় বলে দাবি ফরাসি গোয়েন্দাদের।

>>রয়টার্স
Published : 26 April 2017, 01:50 PM
Updated : 26 April 2017, 01:50 PM

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অথবা তার ঘনিষ্ঠজনদের কেউ ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-মাহ্ক এহ্যু মন্ত্রিসভায় গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন।

ছয়পাতারে এ প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ঘটনাস্থলের মাটি এবং নিহত এক ব্যক্তির রক্তের যে নমুনা সংগ্রহ করেছিল সেগুলো পরীক্ষা করে চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা নিশ্চিত একটি সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের সংগ্রহ করা নমুনায় যে সমস্ত উপাদান পাওয়া গেছে সেগুলো সাধারণত সিরিয়ার গবেষণাগারগুলোতে উৎপাদন করা হয়।”

“এই প্রক্রিয়ায় শুধু আসাদের গবেষণাগারেই উপাদানগুলো উৎপাদন করা হয়। এ থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি ওই হামলার পেছনে আসলে কে ছিল। আমরা বুঝতে পেরেছি কারণ, আমরা আগেরবারের রাসায়নিক হামলার নমুনাও সংগ্রহে রেখেছিলাম। যাতে আমরা তুলনা করতে পারি।”

নমুনাগুলোর মধ্যে যেসব উপাদান পাওয়া গেছে তার একটি হল হেক্সামিন। আসাদের গবেষণাগারে সারিন গ্যাসের মত স্নায়ুবিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্র তৈরিতে হেক্সামিন ব্যবহার করা হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

গত ৪ এপ্রিল ইদলিব প্রদেশের খান শেইখৌন শহরে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়।

সিরিয়ার বিরোধী দল, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, আসাদ বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছে। যদিও আসাদ এবং তার মিত্র রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

‘নিরপরাধ মানুষের উপর রাসায়নিক হামলার’ জবাব দিতে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ায় ছয় বছরের গৃহযুদ্ধে এটিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথম হস্তক্ষেপ ছিল।

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র উন্নয়নে কাজ করছেন এমন অভিযোগ তুলে দেশটির একটি সরকারি সংস্থা ২৭১ জন কর্মীকে কালো তালিকাভূক্তও করেছে যুক্তরাষ্ট্র।