সেনাবাহিনীর ৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিস্তৃত পরিসরে দূরপাল্লার কামানের গোলা ছুঁড়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
Published : 25 Apr 2017, 06:36 PM
এর আগে বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন করেছিল উত্তর কোরিয়া।
মঙ্গলবার দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র অথবা পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান বন্দরে উপস্থিত হয়।
ইউএসএস মিশিগান সাবমেরিনে ১৫৪টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ৬০ জন বিশেষ অভিযানের জন্য প্রশিক্ষিত সেনা ও মিনি-সাব ক্রু রয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র চোসুন ইলবো। এই সাবমেরিনটি নৌ-স্ট্রাইক গ্রুপ কার্ল ভিনসনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রাখার কারণে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের সতর্ক করতে এবং ওই অঞ্চলের মিত্রদের সাহস যোগাতে কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমায় একটি নৌ-স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই স্ট্রাইক গ্রুপে ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামে বিমানবাহী একটি রণতরীও রয়েছে।
জাপানি নৌবহরের দু’টি যুদ্ধজাহাজ মার্কিন স্ট্রাইক গ্রুপের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া নীতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাপানের রাজধানী টোকিওতে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা বৈঠকে বসেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলের ওনসান প্রদেশে দূরপাল্লার গোলন্দাজ বাহিনী মোতায়েন করেছে। এতে বলা হয়েছে,“উত্তর কোরিয়া আজ (মঙ্গলবার) বিকালে ওনসান এলাকায় বড় আকারে কামানের গোলা ছোড়ার মহড়া করেছে।”
“দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রেখেছে।”
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণা ও পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার ইতিহাসের ইতি টানতে’ প্রস্তুত আছে।
এক আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ‘ডুবিয়ে দেওয়ার’ হুমকিও দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের মুখপত্র রডং সিনমুন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, “উত্তর কোরিয়ার পিপলস আর্মির আঘাত করার ক্ষমতা অসীম। আমাদের সেনাবাহিনীর হাতে তাদের মত করে তৈরি করা পরমাণু অস্ত্রসহ অনেক ধরনের শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে।”
ওদিকে, এরকম টান টান পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছে চীন।
বিশ্বের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র চীন। অন্যদিকে, সম্প্রতি ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের ইতিবাচক সম্পর্কের সূচনা হয়েছে।
কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছে চীন।