ফ্রান্সে নির্বাচনের দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার রাতের হামলায় প্যারিসের প্রাণকেন্দ্রে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও দুইজন আহত হন। বন্দুকধারী পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার নাম করিম শফি বলে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্স।
কর্মকর্তারা বলছেন, শফি একজন ফরাসি নাগরিক। তিনি প্যারিসের পূর্বাঞ্চলীয় শহরতলী শেলে- তে থাকতেন। ১৬ বছর আগে আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। কর্তৃপক্ষ তাকে ভাল করেই চিনত।
বৃহস্পতিবারের হামলায় ববহৃত রাইফেল ছাড়াও তার গাড়িতে পাওয়া গেছে পাম্প-একশন শটগান এবং ছুরিও। তার পরিবারের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
হামলাকারীর গাড়িতে পাওয়া কাগজপত্র দেখেই তাকে সনাক্ত করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৩৯ বছর বয়স্ক এ ব্যক্তি জঙ্গিবাদে জড়িত হতে পারে বলে আগে থেকেই সন্দেহ ছিল।
আগেরবারের হামলায় আটক হওয়ার পরও শফি এক কারাকর্মকর্তার বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গুলি করে আহত করেছিলেন। বেশকিছুদিন সাজা খাটার পর তিনি মুক্তি পান।
এবছরও পুলিশের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সন্দেহে শফি কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবের কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুক্রবার বলেছেন, শঁজেলিজে হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তির খোঁজ চলছে। বেলজিয়ামের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ খোঁজ চালানো হচ্ছে। হামলায় জড়িত দ্বিতীয় এ ব্যক্তি বেলজিয়ান পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দ্বিতীয় এ সন্দেহভাজনকে ইউসুফ এল ওসরি নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। শঁজেলিজে হামলার আগেই ইউসুফের ব্যাপারে বেলজিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ফ্রান্স কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শঁজেলিজে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তারা হামলাকারীকে তাদের যোদ্ধা বলে দাবি করে তার নাম আবু-ইউসুফ আল-বালজিকি এবং সে বেলজিয়ান বলে জানায়।
তবে করিম শফির সঙ্গে ইউসুফ এল ওসরির কিংবা আইএস এর বিবৃতিতে উল্লিখিত ইউসুফ আল বালজিকির কোনও সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।