‘বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাস্তবসম্মত নয়’

পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে জাতিসংঘের আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠান বয়কট করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৪০টি দেশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 05:37 AM
Updated : 28 March 2017, 06:53 AM

যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর উস্কানির কারণে এ ধরনের চুক্তি অবাস্তব হবে।

বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে জাতিসংঘের প্রথম পর্বের আলোচনা সোমবার শুরু হয়েছে। এতে ১০০টিরও বেশি দেশ যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসি, ডয়েচে ভেলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।  

জাতিসংঘের এই উদ্যোগ একটি কূটনৈতিক মাইলফলক এবং এটি নিরস্ত্রীকরণের পথে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি বিবেচিত হতে পারতো, যদি বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো এতে যোগ দিত বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। 

বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবটি তুলেছিল সুইডেন। অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন দিয়েছিল।

গত অক্টোবরে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে আইনগতভাবে বাধ্য করার একটি চুক্তি করার প্রস্তাব দেয় জাতিসংঘ, এ নিয়ে সম্মেলনের পরিকল্পনাও ঘোষণা করে।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইসরায়েল প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার বিশ্বের একমাত্র দেশ জাপানও বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল।  

চীন, ভারত ও পাকিস্তান জাতিসংঘের ওই অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকে এবং ওই চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে সম্মেলন বয়কট করবে বলে ইঙ্গিত দেয়। 

আরো ৩০টি দেশ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে এবং পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় ৪০টির মতো দেশ সম্মেলন বয়কট করে।

তারপরও সোমবার ১২০টিরও বেশি দেশ পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করতে আইনগতভাবে বাধ্য করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হ্যালি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োজন কারণ ‘খারাপ চরিত্রদের’ বিশ্বাস করা যায় না। 

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার পরিবারের জন্য পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি বিশ্বই চাই আমি। কিন্তু আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। এমন কেউ আছে যে বিশ্বাস করে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত হবে?”

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো ধরনের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে দেশটির ওপর জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আছে। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনসহ বিশ্ব সম্প্রদায় সতর্ক করার পরও তারা পরীক্ষা বন্ধ করেনি।