হংকংয়ের বিক্ষোভকারী নেতারা মামলার মুখে

হংকংয়ে চীনপন্থি ক্যারি লাম নতুন নেতা নির্বাচিত হতে না হতেই অপরাধ মামলার মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভের নেতারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 04:18 PM
Updated : 27 March 2017, 04:18 PM

২০১৪ সালে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের আয়োজকদের অন্তত নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

নেতারা বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ একটি ‘অশুভ ইঙ্গিত’। এর বিরুদ্ধে সমাজকে একজোট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

সোমবার হংকং পুলিশের ওই ঘোষণার পর এরই মধ্যে নিন্দা ও সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। যা নিয়ে চীন শাসিত বাণিজ্য নগরীটিতে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার রাতে ওয়ানচাই বার জেলায় অবস্থিত পুলিশের প্রধানকার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে।

রোববার ১২০০ সদস্যের ‘নির্বাচন কমিটি’ সাবেক প্রধান সচিব ক্যারি লামকে হংকংয়ের নেতা নির্বাচিত করে। বিজয়ী ভাষণে লাম রাজনৈতিক বিভেদ দূর করে হংকংকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের নেতাদের একজন সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক চান কিন-মান রয়টার্সকে বলেন, “পুলিশ আমার বিরুদ্ধে তিনটি অপরাধের অভিযোগ দায়েরের কথা বলেছে। যদিও আমি মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুতই আছি। তবে আমি হংকংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।”

প্রায় আড়াই বছর পর কেন অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে পুলিশকে ফোন করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে সদ্য নির্বাচিত লাম বলেন, বর্তমান প্রধান নির্বাহী লেয়ুং চুং-ইং প্রশাসনের অধীনে শুরু হওয়া কোনও বিচার কাজে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না।

“আমি খুবই পরিষ্কার করে জানাতে চাই, আমি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই এবং যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে তা জোড়া লাগাতে চাই। তবে সেটা করতে গিয়ে হংকংয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কোনও ধরনের সমঝোতা করা উচিত হবে না।”

লামের বক্তব্য নিয়ে অধ্যাপক চান বলেন, “বার্তা খুবই পরিষ্কার। ক্যারি লাম বলেছেন, তিনি সমাজ সংস্কার করতে চান। কিন্তু আমরা বিচার নিয়ে আজ যে বার্তা পেলাম। আমি বুঝতে পারছি না কিভাবে তিনি সমাজের বিভেদ মেটাবেন।”

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকে ‘এক দেশ দুই নীতিতে’হংকংয়ে চীনের শাসন চলছে।