একটি দুর্নীতি কেলেঙ্কারির তদন্তের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হি-কে ১৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
Published : 22 Mar 2017, 01:35 PM
সরকারি কৌঁসুলিদের কার্যালয়ে টানা ২২ ঘন্টা থাকার পর বুধবার ভোরে কার্যালয়টি থেকে বের হয়ে তিনি অপেক্ষমাণ গাড়িতে রাজধানী সিউলের ব্যক্তিগত বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
এ সময় সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তিন মাস আগে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট পার্ককে অভিশংসনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সাংবিধানিক আদালত তা বহাল রাখার পর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
ব্যক্তিগত লাভের লক্ষ্যে এক পুরোনো বান্ধবীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংসদে ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। পার্ক ও তার বান্ধবী চোই সুন সিল দুইজনই ভুল কোনওকিছু করার কথা অস্বীকার করেন।
প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালে দায়মুক্তির সুযোগে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে জেরার প্রচেষ্টা উপেক্ষা করে গেছেন পার্ক। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হওয়ায় দায়মুক্তির সুযোগ হারান তিনি।
মঙ্গলবার থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। এই প্রথম ফৌজদারি অপরাধের সন্দেহভাজন হিসেবে কৌঁসুলিরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।
পার্ককে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে, না তাকে আটকের জন্য আদালতের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আর্জি জানানো হবে, এ বিষয়ে কোনো কিছু জানাননি কৌঁসুলিরা।
পার্ককে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে তার বিস্তারিতও জানাননি তারা। তবে পার্ক ভালোভাবেই তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
তার এক আইনজীবী, সোহন বুম গাইয়ু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতের আগ পর্যন্ত তাকে ১৪ ঘ্ন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পার্কের বিরুদ্ধে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযুক্ত হলে তার ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। তার বিরুদ্ধে স্যামসাংয়ের মতো বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আছে।
৬৫ বছর বয়সী পার্ক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার কৌঁসুলিদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর দেওয়া প্রথম সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জনগণের কাছে নিজের কার্যকলাপের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।