কোমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক অ্যাডমিরাল মাইক রজার্স পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, নভেম্বরে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও তাতে মস্কোর সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে তদন্ত কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে সাক্ষ্য দিতে এই দুই কর্মকর্তা সোমবার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির সামনে হাজির হন। কমিটির সামনে সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ধরে সাক্ষ্য দেন তারা।
এ সময় কোমি বলেন, নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পরাজিত হোক, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুধু এটাই চাননি, তিনি চেয়েছেন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়।
রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল কিনা, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের বেশ কয়েকটি প্যানেল তদন্ত করছে। এসব প্যানেলের মধ্যে গোয়েন্দা কমিটির প্যানেলটি অন্যতম।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকালে ডেমোক্রেট নির্বাচনী শিবিরের সার্ভার হ্যাক করে তাদের জন্য বিব্রতক তথ্য ফাঁসের কাজটি করেছে রাশিয়ার হ্যাকাররা, এ ক্ষেত্রে পুতিন সরকারের সরাসরি মদদ ছিল।
রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কোমি জানিয়েছেন, নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের সম্ভাব্য উদ্যোগের বিষয়ে জুলাই থেকে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই। তদন্তে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে মস্কোর কোনো সহযোগিতার বিষয় ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ডেমোক্রেট দলের নেতাদের তথ্য হ্যাক করে ট্রাম্পকে সাহায্য করতে চেয়েছে রাশিয়া।
কংগ্রেসের প্যানেলের মুখোমুখি হওয়ার আগে কোমি, ‘২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্প শিবিরের সদরদপ্তর ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আঁড়ি পেতেছিলেন’, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ অভিযোগও প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
মার্চের প্রথমদিকে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই এক টুইটে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ওবামা তার শিবিরে আঁড়ি পেতেছিলেন। তার এ অভিযোগ ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়।
এ বিষয়ে কোমি বলেছেন, “কথিত আঁড়িপাতার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের টুইটের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই যা ওই টুইটকে সমর্থন করে।”
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সিআইএ-র সাবেক পরিচালক লিওন প্যানেট্টা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “একটি ভুল করে ফেলেছেন, এটি স্বীকার করে প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ট্রাম্পের।”