বিদ্রোহীদের আক্রমণের পর দামেস্কে তীব্র লড়াই

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পূর্বাংশের শহরতলীতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে সরকারি বাহিনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2017, 06:36 AM
Updated : 20 March 2017, 06:38 AM

রোববার ভোরে শহরটির জোবার এলাকায় বিদ্রোহীদের আকস্মিক হামলায় বিস্মিত হয়ে পড়ে সরকারি বাহিনী, এ সময় বিদ্রোহীদের ছোড়া কামানের গোলা ও রকেট রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে গিয়ে পড়ে, জানিয়েছে বিবিসি।

সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বিদ্রোহীরা গাড়িবোমা ও আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে আক্রমণটি শুরু করে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা হামলা চালাতে গোপন সুড়ঙ্গও ব্যবহার করেছে।

সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা বিদ্রোহীদের আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে।  

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো বিদ্রোহীদের অবস্থানে ৩০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।

তীব্র লড়াই ও বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত দামেস্কে সেনাবাহিনী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আব্বাসিড স্কয়ারে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

সিরিয়ার রাজধানীর অল্প কয়েকটি এলাকা এখনও বিদ্রোহীদের দখলে আছে। এর মধ্যে জোবার রাজধানীর কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে নিকটবর্তী এলাকা।

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত এই এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ দুপক্ষের মধ্যে ভাগ হয়ে আছে। এর একদিকে আছে বিদ্রোহী ও কট্টরপন্থি গোষ্ঠীগুলো এবং অন্যদিকে সরকারি বাহিনী। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলছে।

অবজারভেটরি জানিয়েছে, রাজধানীর বারজেহ, তিশারিন ও কাবুনে সরকারি বাহিনীর আক্রমণের চাপ কমাতেই জোবার এলাকা দিয়ে রাজধানীর কেন্দ্রস্থলমুখি আক্রমণের উদ্যোগ নেয় বিদ্রোহীরা।  

গত বুধবার দামেস্কর কেন্দ্রস্থলে মূল আদালতের চত্বরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হন। এরপর রাজধানীর পশ্চিমাংশের রাববেহ এলাকায় আরেকটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০ জনেরও বেশি আহত হন।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানের ষষ্ঠ বার্ষিকীতে এসব হামলা চালানো হয়।