যুক্তরাষ্ট্রের সেই সব পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ভিডিও

স্নায়ুযুদ্ধের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বেশ কিছু ভিডিও চার দশক পর প্রকাশ করা হয়েছে।   

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2017, 03:13 PM
Updated : 16 March 2017, 03:31 PM

সিএনএন জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বায়ুমণ্ডলে পারমাণবিক বোমার ২১০টি পরীক্ষা চালায়, যার সবগুলোই একাধিক ক্যামেরায় ধারণ করা হয়।  

যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষণ করা এরকম ১০ হাজার ফিল্ম সম্প্রতি ডিক্লাসিফায়েড করা হয়েছে। ৬০টি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে ইউটিউবে।

 

এসব ফিল্মের ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছিল বিভিন্ন গোপন বাংকারে। তার এক তৃতীয়াংশ এ পর্যন্ত স্ক্যান করা হয়েছে।  

এসব ভিডিওর মধ্যে ভূপৃষ্ঠে চালানো বিভিন্ন পরীক্ষার ছবি যেমন আছে, তেমনি আছে অপারেশন ডোমিনিকের ফিল্ম, যে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল বায়মণ্ডলে কয়েক হাজার ফুট উচ্চতায়, মেঘের মধ্যে। 

ওই ল্যাবরেটরির পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ পদার্থবিদ গ্রেগ স্প্রিগস বলেন, “এসব পরীক্ষায় কী পরিমাণ শক্তি যে তৈরি হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে আমাদের কখনও এইরকম একটি অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে না।”

 

পারমাণবিক বোমা কতোটা ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে, তার নমুনা এসব ভিডিওতে দেখানোর মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষকে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব বলে বলেই তিনি আশা করছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে ১৯৪৫ সালের ১৬ জুলাই নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে পারমাণবিক বোমার প্রথম পরীক্ষাটি চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই বছর ৬ অগাস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং তার তিন দিন পর নাগাসাকি শহরে দুটি অ্যাটম বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী।

 

পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণে ওই দুই শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়, মৃত্যু হয় ২ লাখ ১৪ হাজার মানুষের। বোমার তেজস্ক্রিয়ার প্রভাবে পরের বছরগুলোতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় আরও দুই লাখের বেশি মানুষের।

যুক্তরাষ্ট্রের পার ১৯৪৯ সালে তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়নও পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম হয়। আর সর্বশেষ ২০০৬ সালে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষায় সাফল্য পায় উত্তর কোরিয়া।

ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের নয়টি দেশের হাতে ১৪ হাজার ৯০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে ৬৮০০টির মালিক যুক্তরাষ্ট্র।