ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি ট্রেনে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর লক্ষ্ণৌর ঠাকুরগঞ্জ এলাকার সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে ধরতে একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
Published : 07 Mar 2017, 09:31 PM
এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডোরা সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিকে জীবিত ধরার চেষ্টা করছে।
এছাড়া, ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহ কানপুর থেকে এক ব্যক্তিকে এবং মধ্য প্রদেশ থেকে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লক্ষ্ণৌর অভিযান নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “খুবই সংযতভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”
পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, সন্দেহভাজন ওই জঙ্গির কাছে ভারী অস্ত্র রয়েছে। মাঝে মধ্যে গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তাকে সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা দলজিৎ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযান শেষ হতে পারে।”
মঙ্গলবার স্থানীয় সকাল ১০টার দিকে ভোপাল-উজ্জাইন এর মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনটি মধ্যপ্রদেশের শাজাপুরের কাছে পৌঁছলে একটি বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন আহত হয়।
মধ্যপ্রদেশের মহাপরিদর্শক মাকরান্ড দেভাস্কার পরে সেটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল বলে নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পিপারিয়া থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিযানের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে ৩০ জন পুলিশের একটি দল বাড়িটি খালি করা শুরু করে।
দলটির নেতা সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অসীম অরুণ বলেন, “আমরা অভিযান শেষ করা নিয়ে কোনও তাড়াহুড়া করছি না। কারণ, আমরা তাকে জীবিত ধরতে চাই।”