তাইগ্রিস নদীর পাঁচটি সেতুর মধ্যে দ্বিতীয় সেতু আল হুরিয়া (মুক্তি) সোমবার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ইরাকি সামরিক বাহিনী ও কুর্দি সূত্রগুলো, খবর বিবিসির।
মসুলের পশ্চিমাংশ পুনরুদ্ধারে পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ শুরু করার একদিন পর আল হুরিয়া সেতু দখলের খবর পাওয়া গেল।
ইরাকে আইএসের শেষ বড় ধরনের শক্তিকেন্দ্র মসুল পুনরুদ্ধারে অক্টোবরে অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী। তাইগ্রিস নদী দিয়ে দুই অংশে বিভক্ত মসুলের পূর্বাংশ জানুয়ারির মধ্যেই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় ইরাকি বাহিনী। এখন অপেক্ষাকৃত ঘনবসতিপূর্ণ পশ্চিমাংশ পুনরুদ্ধারে অভিযান চলছে।
মসুলে তাইগ্রিস নদীর পাঁচটি সেতুই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিম মসুল থেকে পূর্ব মসুলে আইএসের রসদ ও যোদ্ধা পাঠানো সীমিত করার উদ্দেশ্যে সেতুগুলো অকার্যকর করা হয়েছিল। এসব সত্বেও আল হুরিয়া সেতুটির নিয়ন্ত্রণ অভিযানরত ইরাকি বাহিনীর অবস্থানকে আরো সংহত করবে।
রোববার ইরাকি বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ আগে পশ্চিম মসুলে অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ে জড়িয়েছে সেনারা।
মসুলের পুরনো শহর ও আল নুরি মসজিদ পশ্চিমাংশেই অবস্থিত। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে এই আল নুরি মসজিদ থেকেই ‘খিলাফতের’ ঘোষণা দিয়েছিলেন আইএসের নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। এর আগে জঙ্গিগোষ্ঠীটি উত্তর ও পশ্চিম ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল।
পশ্চিম মসুলে তীব্র লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে শহরটির ৪৫ হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গিয়ে তাদের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন।
অভিযান শুরুর আগে পশ্চিম মসুলে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করতো বলে জানা গেছে।