বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ল্যাঙ্কস্টারে নিজ বাসার সামনে হার্নিশ প্যাটেলকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানিয়েছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
ওই দিন রাত ১১ট ২৪ মিনিটে প্যাটেল নিজের দোকান বন্ধ করে বাসার পথে রওয়ানা হন। এর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই নিজ বাসার সমানে প্যাটেলকে হত্যা করা হয়।
এ সময় তার স্ত্রী ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া তাদের সন্তান বাসায়ই ছিলেন।
এক নারী ফোনে পুলিশকে জানান, তিনি গুলি ও চিৎকারের শব্দ শুনেছেন। শেরিফের ডেপুটিরা ঘটনাস্থলে এসে প্যাটেলের লাশ পান। নিজ বাসা থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে তার লাশ পড়েছিল।
ঘটনাস্থলে দুটি গুলির খোসা পেয়েছে পুলিশ।
এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের একটি পানশালায় ৩২ বছর বয়সী প্রকৌশলী শ্রীনিভাস কুচিভোতলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এই হত্যার ঘটনাটিকে ‘জাতিগত বিদ্বেষ থেকে ঘৃণার প্রকাশ’বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। এর দুদিনের মাথায় দেশটিতে আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে হত্যার ঘটনা ঘটলো।
তবে ঘ্টনার তদন্ত শুরু করা ল্যাঙ্কাস্টারের কর্মকর্তারা প্যাটেলের হত্যাকাণ্ডকে ‘ঘৃণাজনিত’ অপরাধ বলে মনে করছেন না, জানিয়েছে দ্য হেরাল্ড।
শুক্রবার কাউন্টি শেরিফ ব্যারি ফাইলি বলেন, “জাতিগত ঘৃণা থেকে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ দেখছি না আমি।”
২২ ফেব্রুয়ারি রাতে কুচিভোতলাকে গুলি করার সময় বন্দুকধারী চেঁচিয়ে বলেছিল, “আমার দেশ থেকে বেড়িয়ে যাও।”
কিন্তু প্যাটেলের ঘটনার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো কিছু ঘটেছে বলে জানা যায়নি।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনের চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, প্যাটেলের হত্যাকাণ্ডে ল্যাঙ্কাস্টারজুড়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ এবং দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন। নিজ দোকানের ক্রেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করতেন তিনি।
শেরিফ ফাইলি বলেছেন, “প্যাটেল দারুণ পারিবারিক মানুষ ও বন্ধুবৎসল ছিলেন।”