যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেল না তিব্বতের নারী ফুটবল দল

টেক্সাসে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করলেও তা নাকচ হয়েছে বলে জানিয়েছে তিব্বতের একটি নারী ফুটবল দল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2017, 01:27 PM
Updated : 2 March 2017, 01:27 PM

তারা জানিয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার বলে দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার মতো তাদের যুক্তিযুক্ত কোনও কারণ নেই।

বিবিসি জানায়, ফুটবল দলটির বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ভারতে বসবাসকারী তিব্বতি শরণার্থী। তারা দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭ টি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তবে এ তালিকায় ভারত কিংবা চীন নেই। তিব্বত চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল হিসাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে।

‘টাইবেট উইমেনস সকার’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মার্কিন নাগরিক ক্যাসি শিল্ডার্স বিবিসি’কে বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে তিনি দলের ১৬জন ফুটবলারকে নিয়ে ভিসার ইন্টারভিউয়ের জন্য দূতাবাসে গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, "আমি অত্যন্ত হতাশ। কারণ আমরা গত কয়েক মাস ধরে এ সফরের পরিকল্পনা করে আসছিলাম। দলের ফুটবলাররাও এ সফরের কথা জানার পর থেকেই মনে করছিল এটি তাদের জীবনে একটি মোড় পরিবর্তন ঘটাবে। তিব্বতের মেয়েরাও যে জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে পারে বিশ্বকে তা জানান দেওয়ার এটিই ছিল তাদের সুযোগ।"

কিন্তু তার দেশ একটি নারী ফুটবল দলকে ভিসা দিলনা, এতে  'লজ্জিত’ বলে মন্তব্য করেছেন শিল্ডার্স।

তবে শির্ল্ডাস এও বলেন যে, ভিসা নামঞ্জুরের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতায় আসার কোনও সম্পর্ক আছে বলে তিনি মনে করেন না।

তার মতে, তিব্বতিরা যুক্তরাষ্ট্রে গেলে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারে মার্কিন কর্মকর্তাদের এ আশঙ্কার কারণেই তারা চট করে ভিসা পায় না।  একারণে আবেদন খারিজ হয়ে যেতে পারে এমন একটা আশঙ্কা তার ছিল বলে জানান শিল্ডার্স।

তবে ভিসা নাকচের ধাক্কা দলের মনোবলে কোনও চিড় ধরাতে পারেনি বলেই দাবি করেছেন তিনি।

ফুটবল দলটির বেশির ভাগ সদস্যেরই আছে ভারতীয় পরিচয়পত্র। তিব্বতি শরণার্থীদের ভারত সরকারের দেওয়া এ পরিচয়পত্রই পাসপোর্টের কাজ করে।

দলের দুই ভারতীয় পাসপোর্ট ছিল। অন্য চারজন ফুটবলার থাকেন নেপালে, তারা নেপালি নাগরিক। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এ চারজনও মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কী হয়েছে তা জানা য়াযনি।