ডোয়ান থি হুওং নামের সন্দেহভাজন ওই ভিয়েতনামি নারী ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি ভেবেছেন তারা ওই কমেডি ভিডিওর তামাশাপূর্ণ কোনো দৃশ্যে অংশ নিচ্ছেন।
ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে রোববার জানিয়েছে এনডিটিভি।
১৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের বাজেট টার্মিনাল এলাকায় দুই নারী ন্যামকে হেনেস্থা করেছিলেন। ওই সময় তারা ন্যামের মুখে কাপড়জাতীয় কিছু একটা চেপে ধরেছিলেন বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা। ওই কাপড়ে ভিএক্স এজেন্ট নামের প্রাণঘাতী রাসায়নিক মাখা ছিল বলে সন্দেহ তাদের।
এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরের ক্লিনিকে ৪৫ বছর বয়সী ন্যামের হঠাৎ মৃত্যু হয়।
ভিএক্স এজেন্টের নাম জাতিসংঘের গণবিধ্বংসী অস্ত্রের তালিকায় আছে।
বিমানবন্দরের ঘটনার সন্দেহভাজন হিসেবে হুওংয়ের পাশাপাশি ইন্দোনেশীয় নারী সিতি আইশাহকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দুই নারীই বিমানবন্দরে ন্যামকে হেনেস্থা করার সময় তার মুখে প্রাণঘাতী রাসায়নিক মেখে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হুওংয়ের ধারণা ন্যাম হত্যায় ‘চাতুর্যের সঙ্গে’ তাদের ব্যবহার করা হয়েছে।
হুওং ভিয়েতনামের নাগরিক, এটি নিশ্চিত করে ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তার শরীর ভাল আছে। দূতাবাস কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতে হুওং জানিয়েছেন, তার ধারণা ছিল হাসির কোনো ভিডিও ক্লিপে অংশ নিচ্ছেন তিনি।”
ইন্দোনেশীয় আইশাহও জানিয়েছেন, তারও ধারণা ছিল তিনি টেলিভিশনের একটি কৌতুক দৃশ্যে অংশ নিচ্ছেন। এ কাজের জন্য তাকে ৯০ ডলার সম্মানি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ন্যাম হত্যার তদন্তে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হুওংয়ের সম্পর্কে ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা বিস্তারিত আর কিছু জানাননি। তবে হুওংয়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি ফ্যাশন সচেতন ছিলেন, ছলতি ফ্যাশনে চুল ছাঁটতেন এবং বিদেশি ছেলেবন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতেন।