মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি খসড়া আইন অনুমোদন পেয়েছে। আইনানুযায়ী, “স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকারি চাকরিতে, পুলিশ স্টেশনে এবং নির্বাচন কেন্দ্রে মুখ ঢাকা নিকাব এমনকি পুরো শরীর ঢাকা বোরকা পরাও নিষিদ্ধ থাকবে।”
বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউয়াকিম হেরমান বলেছেন, “কোনও নারী মুখ ঢেকে রাখলে তা আমাদের স্থানীয় জার্মান যোগাযোগের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না।”
“শুধু কথা বলার মধ্য দিয়ে যোগাযোগ বা আদানপ্রদান হয় না। চেহারা,মুখভঙ্গি কিংবা অঙ্গভঙ্গিও যোগাযোগের জন্য জরুরি। আন্তব্যক্তিক যোগাযোগের ভিত্তি গড়ে ওঠে এ সবকিছু মিলিয়েই। আর এটিই আমাদের মুক্ত সমাজের ভিত্তিমূল। গণতান্ত্রিক ধারার মুক্ত এ সমাজে মুখ ঢেকে রাখা সঙ্গত নয়।”
তবে সমালোচকরা বলছেন, এ রাজ্যে মুসলিমের সংখ্যা খুব কম হওয়ায় নিকাব নিষিদ্ধ আইনের প্রভাব তেমন একটা পড়বে না।
তারা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখেই আঞ্চলিক সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দ্য ক্রিশ্চিয়ান স্যোশাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) অভিবাসী বিরোধী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার আশঙ্কায় আছে।