ফাতাহ আল-শরিফ (২১) নামের ওই ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে অসাড় অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকার কিছুক্ষণ পর ২০ বছর বয়সী সার্জেন্ট ইলোর আজারিয়া তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেন।
তার সহকর্মীদেরকে তখন তিনি বলেছিলেন, ‘সে আমার বন্ধুকে ছুরি মেরেছে এবং হত্যার চেষ্টা করেছে--মৃত্যু তার পাওনা।”
সামরিক প্রধানদের অনেকেই তখন আজারিয়ার এ কাজের প্রশংসা করেছিলেন আবার অনেকে এর নিন্দাও করেন।
পরে গত মার্চে তেল আবিবের সামরিক আদালত আহত ফিলিস্তিনিকে হত্যার অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। তিন বিচারকের সামরিক আদালত রায়ে বলেছিল, ‘যখন একজন সন্ত্রাসী আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে এবং হামলার শিকার বা আশেপাশের কারও জন্যই হুমকির কারণ নয়, সেসময় তাকে আক্রমণ করে সার্জেন্ট আজারিয়া লড়াইয়ের নীতি লঙ্ঘন করেছেন।
আর এখন আদালত তাকে কারাদণ্ডের সাজা শোনাল।
সার্জেন্ট আজারিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতকে বলেছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন ফিলিস্তিনি শরিফের কাছে বিস্ফোরক বেল্ট রয়েছে। কিন্তু আদালত তার এ যুক্তি নাকচ করেছে।
ইসরায়েলে এ ধরনের হত্যার সাজায় ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়ে থাকে। তবে কৌঁসুলিরা আজারিয়ার তিন থেকে ৫ বছরের জেল দাবি করেছিলেন।
আজারিয়ার বাবা আদালতের সাজার রায়কে ‘তামাশা’ আখ্যা দিয়েছেন। তার বিচার ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।
আজারিয়ার বিচারস্থল তেল আবিবের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরের বাইরে ডানপন্থি বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আজারিয়াকে ক্ষমা করার যে কোনও সিদ্ধান্তই তিনি সমর্থন করবেন।