জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত চুরকিনের হঠাৎ মৃত্যু

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন কর্মস্থলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

সোমাবার নিউ ইয়র্কে তার মৃত্যু হয়েছে বলে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

চুরকিনের মৃত্যুকালীন পরিস্থিতির বিস্তারিত কিছু জানায়নি মন্ত্রণালয়টি। শুধু তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে এবং ৬৫তম জন্মবার্ষিকীর একদিন আগে অভিজ্ঞ এই কূটনীতিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে।

মৃত্যুর আগে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, প্রকাশিত এমন তথ্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি। 

এ ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলার অনুমতি না থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হৃদরোগে চুরকিনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

নাম না প্রকাশ করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদূতের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কোনো কিছু ঘটেছে বলে মনে হয়নি।  

নামহীন সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত চুরকিনকে রুশ দূতাবাস থেকে ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, চুরকিনের মৃত্যুর সংবাদে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন এবং চুরকিনের পেশাদারিত্ব ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার উচ্চ প্রশংসা করেছেন।    

বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে চুরকিনের সহকারী পিওতর ইলিচেভ বলেছেন, “তার মৃত্যুতে রাশিয়ার যে গভীর ক্ষতি হল তা অপূরণীয়। রাষ্ট্রদূত চুরকিন জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত নিজের দায়িত্বে রত ছিলেন এবং রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষায় জীবনভর একনিষ্ঠ ছিলেন।” 

২০০৬ সাল থেকে তিনি রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে দায়িত্বপালন করছিলেন।

তার মৃত্যুর খবর আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনানুষ্ঠানিক অধিবেশনে এক মিনিট নিরবতা পালন ও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে শোক জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর, জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি, জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার, জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ রাইক্রফট।