প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করার অভিযোগের মুখে সোমবার পদত্যাগ করেন ফ্লিন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার জানিয়েছেন, রাশিয়ার ফোন কলটিতে যে সমস্যা ছিল ট্রাম্প তা কয়েক সপ্তাহ আগে জানতে পারেন।
“আস্থা হারানোর পর প্রেসিডেন্টর তাকে পদত্যাগ করার জন্য বলেন। পরে সোমবার তিনি পদত্যাগ করেন। বিষয়টি সম্পূর্ণই সততা ও আস্থার,” যোগ করেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ফ্লিনের পদত্যাগের পর যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান জন ম্যাককেইন বলেছেন, এতে রাশিয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য রিপাবলিকান রয় ব্লান্ট ফ্লিনের সঙ্গে ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের কথিত যোগাযোগের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
সিনেটের রিপাবলিকান দলীয় সহনেতা টেক্সাসের সিনেটর জন ক্রোর্নিও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান ডেভিন নুনেস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনিও চান যেসব তথ্য ফাঁস হওয়ার কারণে ফ্লিন পদত্যাগ করেছে তা তদন্ত করে দেখা হোক।
কেন ফ্লিনের কথাপোকথন রেকর্ড করা হয়েছিল, এফবিআইয়ের তা ব্যাখ্যা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে ফ্লিনের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তকে সমর্থন করেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান স্পিকার পল রায়ান।
বিরোধী ডেমোক্রেট দলীয় নেতারা অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ফ্লিনের সঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সম্পর্ক তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়ে আসছেন।