ওই স্থগিতাদেশের সূত্র ধরে রোববার তিনি বলেছেন, আদালত যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা কঠিন করে তুলছে।
শুক্রবার সিয়াটলের ফেডারেল বিচারক জেমস রবার্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন। ২৭ জানুয়ারির ওই নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের ৯০ দিনের জন্য এবং ১২০ দিনের জন্য সব ধরনের শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।
বিচারক রবার্টের দেওয়া আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করতে ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার আপিল করা হয়, কিন্তু রবার্টের দেওয়া আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করতে সম্মত হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের আপিল আদালত।
এরপর ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার সমালোচনায় মুখর হন ট্রাম্প। বলেন, যদি ‘কোনো ঘটনা ঘটে’ তাহলে আমেরিকানদের উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচার জেমস রবার্ট ও আদালত পদ্ধতিকে দোষারোপ করা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য কী ধরনের হুমকির মুখোমুখি হতে পারে তা বিস্তারিত করে বলেননি তিনি।
বরং জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে তিনি বলেছেন, “আমাদের দেশে যেসব লোক আসছে তাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে। এই কাজটিকে আদালতগুলো খুব কঠিন করে দিচ্ছে!”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিচারকবর্গের এক সদস্যকে এভাবে আক্রমণ করা শোভন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ ও কংগ্রেসের ক্ষমতাকে সীমার মধ্যে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিচারকদেরই মনোনীত করেছে।
সিনেটের বিচারক সংক্রান্ত কমিটির শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্রেট দলীয় সদস্য সিনেটর প্যাট্রিক লেহি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে ট্রাম্প একটি সাংবিধানিক সঙ্কট বাধানোর পরিকল্পনা করছেন।”
অপরদিকে কিছু রিপাবলিকান সিনেটরও সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অস্বস্থি প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেলও রয়েছেন। তারা বিচার বিভাগের ওপর এভাবে আক্রমণ করে কথা না বলার জন্য ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন।
কিন্তু রোববার এনবিসি’র ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ট্রাম্পকেই সমর্থন করেছেন।
“সরকারের অন্য দুই শাখাকে সমালোচনা করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আছে,” ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন তিনি।