এতে ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী পরজীবী ধীরে ধীরে ওষুধ প্রতিরোধক হয়ে উঠছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, মিশ্র ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা চার রোগী সেরে উঠতে পারেননি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ওই চারজনের সবাই আফ্রিকা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তাদের দুইজন উগান্ডা, একজন অ্যাঙ্গলা ও একজন লাইবেরিয়া ভ্রমণ করেন।
২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে চারজনের চিকিৎসা ব্যর্থ হয়।
আর্টেমেথার–লুমেফ্যানট্রাইন (এএল) ওষুধের যৌথ ব্যবহারেই বেশিরভাগ রোগীর ম্যালেরিয়া চিকিৎসা করা হয়। এটি এক ধরনের ‘আর্টেমাইসিনিন কম্বিনেশন থেরাপি’ (এসিটি)। যা ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী। কিন্তু এ থেরাপিই আফ্রিকা সফর করা ওই রোগীদেরকে সারিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক দল চিকিৎসক।
কিন্তু তারা সতর্ক করে এও বলেছেন, যে কোনও সময়ে পরিস্থিতি গুরুতর খারাপ হয়ে যেতে পারে এবং কারণে আফ্রিকায় ওষুধের কার্যকারিতার দিকটি নজরে রাখা উচিত।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডা. সুদারল্যান্ড বলেন, “খুব সম্ভবত কিছু পরিবর্তন ঘটছে, যদিও আমরা এখনও সংকটে পড়িনি।”
“তবে এটা প্রাথমিক সতর্কবার্তা এবং আমাদের এটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। খুব সম্ভবত কিছুর মধ্যে সামান্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে, যার বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে।”
আক্রান্ত মশার কামড়ে মানবদেহে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ হয়।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ ম্যালেরিয়া।
বিবিসি’র তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একটি শিশু ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা নেয়, যাদের সবাই বিদেশে ভ্রমণে গিয়ে সংক্রমিত হয়।