যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন আবার একসঙ্গে বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে: টেরিজা মে

ব্রেক্সিটের ধাক্কা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলের এ সময়েও যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য আস্থা গড়ে তুলে আবারও একসঙ্গে বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশাবাদী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2017, 01:55 PM
Updated : 26 Jan 2017, 01:55 PM

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ আশার বাণীই তাকে শোনাবেন মে। দু’ দেশের মধ্যে নতুন করে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলারও আহ্বান জানাবেন তিনি।

গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেকের পর মে ই প্রথম কোনও বিশ্ব নেতা যিনি হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন।

ওভাল অফিসের বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে মে’র একটি ‘সুদৃঢ় ও ফলপ্রসূ কাজের সম্পর্কের’ ভিত গড়ে উঠবে এবং ইইউ পরবর্তী যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আবদ্ধ হতে দু নেতাই রাজি হবেন বলেই আশা করছে ডাউনিং স্ট্রিট।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর বাণিজ্য ছাড়াও নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সহযোগিতার পাশাপাশি নেটোর ভবিষ্যত নিয়েও তারা আলোচনা করবেন।

মে বলেন, একই মূল্যবোধ ও একই স্বার্থের অধীনে তার লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।

তবে যেসব বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে সেগুলো নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে অকপটে কথা বলতে তিনি ‘কোনো ধরনের কুণ্ঠা বোধ করবে না’ বলেও মন্তব্য করেন মে।

ইইউ ত্যাগ নিয়ে যুক্তরাজ্যের গণভোটে বিচ্ছিন্নতার পক্ষ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই সময়ে যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘কুশলী পদক্ষেপ’ বলেও মন্তব্য করেছিলন তিনি।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব এবং ব্যবসায়ী হিসেবে তার যোগাযোগকে যুক্তরাজ্য সরকার কাজে লাগাতে চায়।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথমেই ফিলাডেলফিয়ায় রিপাবলিকান নেতাদের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে যাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

ট্রাম্প এরই মধ্যে বন্দি নির্যাতনের কিছু নিষিদ্ধ কৌশল কাজে লাগে- এমনটি বিশ্বাস করেন বলে মন্তব্য করার পর এ বিষয়টিও টেরিজা মে’র হোয়াইট হাউজ বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানানো হয়েছে মে কে। আর তিনিও বলেছেন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থানের কোনও নড়চড় হবে না।

ব্রিটেনের ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বলিষ্ঠ এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধন আছে। ফলে যে সমস্ত বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতের ভিন্নতা আছে তা পরিষ্কার করে বলতে কোনও বাধা নেই।