নির্বাসনে গাম্বিয়ার নেতা ইয়াহিয়া জামেহ

দীর্ঘ ২২ বছর পর ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাসনে গেলেন গাম্বিয়ার সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জামেহ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 04:35 AM
Updated : 23 Jan 2017, 04:49 AM

শনিবার রাতে ছোট একটি বিমানে করে তিনি দেশ ছাড়েন, পরে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের একটি কার্গো বিমানে তার ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়ি ও অন্যান্য মালামাল তুলতে দেখা যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

জামেহ দেশ ছাড়ার পর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারোর এক উপদেষ্টা অভিযোগ করেন, জামেহ চলে যাওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ১১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

কী পরিমাণ অর্থ খোয়া গেছে হিসাবরক্ষণ বিশেষজ্ঞরা তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন মই আহমদ ফ্যাতি নামের ওই উপদেষ্টা।

১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাম্বিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন জামেহ। গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ব্যারোর কাছে হেরে যান।

শুরুতে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিলেও পরে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান জামেহ। সেইসঙ্গে দেশজুড়ে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন।

পরে পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের মধ্যস্থতায় ও জাতিসংঘ সমর্থিত আফ্রিকান আঞ্চলিক বাহিনীর সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকির মুখে দেশ ছাড়তে রাজি হন।

প্রেসিডেন্ট ব্যারোর আগমণের প্রস্তুতি নিতে রোববার পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক বাহিনীর সেনারা গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে প্রবেশ করে। তারা রাষ্ট্রীয় ভবনগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর উপস্থিত জনতা উল্লাস প্রকাশ করে।

পাঁচটি আফ্রিকান দেশের মিলিত ওই বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া সেনেগালিজ জেনারেল জানিয়েছেন, জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনার সুরক্ষার জন্য তার বাহিনী কৌশলগত পয়েন্টগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ব্যারো প্রতিবেশী সেনেগালেই ছিলেন এবং তিনি কখন ফিরবেন তা স্পষ্ট হয়নি।  

প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সাবেক নেতা জামেহর কিছু মালামাল গিনিতে নেওয়া হয়েছে, নির্বাসনে যাওয়ার পথে দেশটিতে থেমেছিলেন তিনি। তার চূড়ান্ত গন্তব্য ইক্যোটোরিয়াল গিনি হবে বলে জানা গেছে, তবে ওই দেশেটির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।