সোমবার রাতে ট্রাম্প তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের প্রশংসা করে লেখা অন্য এক ট্যুইটার ব্যবহারকারীর বার্তা কোট করেছিলেন। কিন্তু ওই ট্যুইটে উল্লিখিত একাউন্টটি ছিল এক ব্রিটিশ নারী ইভাঙ্কা ম্যাজিকের।
আসলে টু্যইট একাউন্টটির ইউজার নেম- এ ভুল করে ইভাঙ্কা লেখা হয়েছিল। আর বার্তায় লেখা ছিল, “ইভাঙ্কা ট্রাম্প চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানমর্যাদায় খুবই অসাধারণ একটি মেয়ে।”
ট্যুইটারে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ইউজার নেম @IvankaTrump। আর ইভাঙ্কা ম্যাজিকের ইউজার নেম @Ivanka। ট্রাম্প ওই বার্তাটি রি-টু্যইট করার পর তা চলে যায় তার ২ কোটি অনুসারীরর কাছে। এরপরই বয়ে যায় একের পর এক ট্যুইটের ঝড়। এটি শেয়ার হয় হাজার হাজার বার।
যুক্তরাজ্যের ব্রাইটন শহরের বাসিন্দা ইভাঙ্কা ম্যাজিক একজন ডিজিটাল কনসালটেন্ট কর্মী। অতীতে লেবার পার্টিতেও কাজ করেছেন।
ট্রাম্পের ট্যুইটের জবাবে মঙ্গলবার সকালে তিনি লেখেন, “আর আপনি একজন বড় মাপের দায়িত্বশীল মানুষ। ট্যুইটার ব্যবহারে আপনাকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি?”
ট্রাম্পের এই ভুলকে অবশ্য একটি সুযোগ হিসাবেই দেখছেন বলে সিএনএন কে জানিয়েছেন ইভাঙ্কা ম্যাজিক।
ট্রাম্পের টু্যইটৈর কারণে মুহূর্তের মধ্যে গণমাধ্যমের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন ম্যাজিক।
বিবিসি’কে সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেতে গিয়ে তিনি বলেন, দিনটি খুবই অদ্ভুতভাবে শুরু হয়েছে।
১৭ জানুয়ারি ভোর ছয়টায় গণমাধ্যমের ফোনে তিনি আর তার স্বামীর ঘুম ভাঙে। একটি নিউজ এজেন্সি থেকে ম্যাজিকের স্বামীর মোবাইলে বার্তা আসার পর বিষয়টি বোঝা যায়।
ম্যাজিক বলেন, “আমি সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে আমার ফোন চেক করি এবং সেখানে নোটিফিকেশনের বন্যা দেখতে পাই।”
“একদিনে আইটিভি ও বিবিসি’কে ৪৫ মিনিট করে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিশ্চয়ই খুবই অস্বাভাবিক।”
তবে তিনি বলেন, এ ধরনে ঘটনা অবশ্য একেবারে নতুন নয়। গত বছর থেকে তিনি নিয়মিত এ ধরনের ভুলের শিকার হচ্ছেন। তবে আগে কখনও এত বড় আকারে হয়নি।
“এমনকি নির্বাচনের সময় আমার একটি ‘টুইটার বট’ (Twitter bot) ছিল।”
ম্যাজিক আরও বলেন, “ইভাঙ্কা স্লাভিক মেয়েদের খুব জনপ্রিয় নাম। আমার নামের সঙ্গে আরও একটি নাম গুলিয়ে যায়। সেটি হাঙ্গেরির একটি কংক্রিট কোম্পানি, নাম ইভাঙ্কা কংক্রিট।”
এই ভুল এড়াতে কি ভাবছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি আমার টুইটার অ্যাকাউন্টের ইউজার নেম পাল্টে ফেলব কিনা তা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। আমি আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খুব একটা ব্যবহার কারি না।”
“যদিও আমি সেই ২০০৭ সাল থেকে ট্যুইটার ব্যবহার করছি। নতুন একটি জিনিস এলো এবং আপনি নতুন একটি ইউজার নেম তৈরি করলেন। তখন নিশ্চয়ই কল্পনাও করতে পারেননি একদিন ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বাবা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন।”