এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির নাটকীয় মোড় নেওয়ার আভাসও দিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে ট্রাম্প রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধের সূচনা করার পর ‘ফক্স নিউজ সানডে’ সাক্ষাৎকারে এক চীন নীতি নিয়ে এ মন্তব্য করলেন।
তিনি বলেন, “আমি এক চীন নীতি পুরোপুরিই বুঝি। কিন্তু যদি বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে চীনের সঙ্গে আমরা কোনও চুক্তি না করি, তাহলে আমাদেরকে কেন এক চীন নীতি মেনে চলতে হবে তা বুঝি না।”
১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং চীনের নেতা মাও সেতুংয়ের মধ্যে বৈঠকের মধ্য দিয়ে দু'দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটন তাইওয়ানকে এক চীনের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে চীনের অবস্থানকে সমর্থন করে আসছে।
বেইজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাইওয়ানকে সুরক্ষা দিয়ে গণতন্ত্রের পথ রক্ষা করা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্যই মূলত যুক্তরাষ্ট্র এ নীতি মেনে আসছে।
এর বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মন্তব্যের পর চীন তাকে তাইওয়ান ইস্যুর স্পর্শকাতরতার বিষয়টি বোঝার আহ্বান জানিয়েছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্কের ভিত্তিই এ নীতি- বলেছেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং সুগাং।
চীনের গ্লোবাল টাইমস ট্যাবলয়েড ট্রাম্পকে ‘শিশুর মতই নির্বোধ’ আখ্যা দিয়েছে।
ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন,“ তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে আমার আলাপের বিষয়ে বেইজিং সিদ্ধান্ত দিক তা আমি চাই না। আমি চাই না চীন আমাকে আদেশ করুক। এই কলটা আমাকে করা হয়েছিল। এটি ছিল চমৎকার একটি সংক্ষিপ্ত কল। অন্য কোনও দেশ কিভাবে বলতে পারে যে, আমি এ কল রিসিভ করতে পারব না? আমার মনে হয়েছে এটি খুবই অসম্মানজনক।”
এর আগে তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে আলাপের পর বেইজিংয়ের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জবাবে ট্যুইটারে একাধিক পোস্টে চীনকে তুলোধুনা করেন ট্রাম্প।
চীনের মুদ্রানীতি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং-এর কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। চীনের নিজেদের মুদ্রার মান কমানো নিয়েও কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, এতে করে আমাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা করা কঠিন হচ্ছে।