ডব্লিউইএফ- এর ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় গড়ে দৈনিক ৫০ মিনিট বেশি কাজ করে।
এছাড়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবৈতনিক কাজগুলো বাধ্যতামূলকভাবে নারীদেরই করতে হয়।
নারী ও পুরুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হতে আরও ১৭০ বছর লেগে যাবে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণের সুযোগের ক্ষেত্রেও নারী ও পুরুষের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে এবং ২০০৮ সালের পর থেকে ব্যবধান আরও বেড়েছে।
প্র্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও গত একদশকে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৫ লাখ নারী আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
কিন্তু নারীরা এখনও পুরুষদের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কম মজুরি পায়। সেইসঙ্গে ঘরের কাজ, সন্তান ও বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখাশুনার মত অবৈতনিক কাজগুলোতে নারীরা বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে।
এ বিষয়গুলো বিবেচনায় ধরে ডব্লিউইএফ হিসাব করে দেখেছে, প্রতিবছর নারীরা পুরুষদের তুলনায় ৩৯ দিন বেশি কাজ করে।
ভারত, পর্তুগাল ও এস্তোনিয়ার নারীরা পুরুষদের তুলনায় প্রতিবছর গড়ে ৫০ দিনের বেশি কাজ করে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের নারীরা পুরুষদের তুলনায় বছরে প্রায় ১২ দিন বেশি কাজ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে মাত্র ছয়টি দেশে পুরুষরা নারীদের তুলনায় বেশি কাজ করে। যার মধ্যে তিনটি নরডিক দেশ, যেখানে সন্তান জন্মদানকালীন ছুটি নারী ও পুরুষকে সমানভাবে ভাগ করে নিতে হয়।
ডব্লিউইএফ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের অনেক দেশে অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণে পিতৃত্বকালীন ছুটির ভূমিকা অনেক শক্তিশালী। ডব্লিউইএফ-র কর্মকর্তা ভ্যাজেলিনা র্যাচেভা বিবিসি’কে বলেন, “সন্তান জন্মদানকালীন ছুটি ভাগ করে নেওয়া ভাল, কারণ এতে পরিবারগুলো তাদের জীবন নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারে। কর্মজীবনের মধ্যে কখন সন্তান গ্রহণ সঠিক হবে তা ঠিক করতে পারে এবং দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারে।”
যদিও বিশ্ব জুড়ে মাতৃত্বকালীন ছুটিকে পিতৃত্বকালীন ছুটির তুলনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সব সরকার নারীদের সন্তান জন্মদানকালীন বৈতনিক ছুটি দিলেও পুরুষদের তা দিতে চায় না।