শার্লটে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লট শহরে গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ কিথ স্কটের পরিবার এবং বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে ঘটনার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ।

বডিক্যামেরা ও ড্যাশবোর্ডক্যামেরার ফুটেজটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ‍শার্লটে একটি অ্যাপার্টমেন্টের গাড়ি রাখার জায়গায় পুলিশের গুলিতে কিথ ল্যামন্ট স্কট নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ অন্য এক ব্যক্তিকে ধরতে সেখানে অভিযান চালিয়েছিল।

গত মঙ্গলবার কেতলিক লুইস স্কটকে গুলি করার পর থেকে সেখানে বিক্ষোভ চলছে। তারই প্রেক্ষাপটে পুলিশের পক্ষ থেকে ভিডিওটি প্রকাশ করা হল।

ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা ছাড়াও পুলিশ একটি ‘হ্যান্ডগান’ ও গাঁজা ভর্তি একটি প্যাকেটের ছবি প্রকাশ করেছে। এগুলো স্কটের বলে দাবি করেছে পুলিশ।

স্কটকে হত্যার পরপরই ওই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা তিন রাত ওই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের পোশাকে থাকা ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা ঘটনার ফুটেজ জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানায়।

বৃহস্পতিবার স্কটের পরিবারকে ভিডিও ফুটেজ দেখার অনুমতি দেওয়া হলেও জনসম্মুখে তা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তে অটল ছিল শার্লট পুলিশ।

স্কটকে গুলি করার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত তার স্ত্রী ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করার পর পুলিশ শনিবার বডিক্যামেরা ও ড্যাশবোর্ড ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ জনসম্মুখে প্রকাশ করে।

স্কটের পরিবারের দাবি ছিল, পুলিশ যখন তাকে গুলি করে তখন তার হাতে একটি বই ছিল, আগ্নেয়াস্ত্র নয়।

কিন্তু শার্লট পুলিশ প্রধান কের পাটনি সাংবাদিকদের বলেন, “নিহত স্কটের কাছে নিশ্চিতভাবেই একটি হ্যান্ডগান ছিল।”

ড্যাশবোর্ড ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায়, স্কট গাড়ি থেকে নেমে উল্টাপায়ে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। তার হাত নিচের দিকে। তার হাতে কিছু ছিল কিনা তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। এরপর চারটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং স্কট মাটিতে পড়ে যান।

বডিক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, স্কট গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন এবং তার হাত নিচের দিকে। ওই ফুটেজে গুলিবর্ষণের মুহূর্তের কিছু ধরা পড়েনি।

বিবিসি’র ওয়াশিংটন প্রতিনিধি ভিডিও দুইটি দেখেছেন। তিনি বলেন, স্কটের হাতে বন্দুক ছিল কিনা বা তিনি পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করেছিলেন কিনা ভিডিওতে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই।

স্কটের পরিবারের আইজীবী সাংবাদিকদের বলেন, এই ভিডিও ফুটেজ প্রকৃত ঘটনা নিয়ে আরও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কারণ, ভিডিওতে ‘স্কটের হাতে কোনো বন্দুক দেখা যায়নি’।