মালয়েশিয়ায় প্রথম গর্ভবতী নারী জিকা আক্রান্ত

মালয়েশিয়ায় গর্ভবতী এক নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2016, 02:42 PM
Updated : 7 Sept 2016, 03:27 PM

২৭ বছর বয়সী ওই নারী সিঙ্গাপুর সীমান্তবর্তী দক্ষিণের রাজ্য জোহোরের বাসিন্দা।

সিঙ্গাপুরে এরই মধ্যে ২৭৫ জন জিকা ভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় জিকা সংক্রমণের তৃতীয় ঘটনা এটি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পাতায় দেওয়া এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী এস. সুব্রামানিয়াম বলেন, “ওই নারী তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। তিনি তিন অথবা চার মাসের গর্ভবতী।”

গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় সর্বপ্রথম জিকা রোগী সনাক্ত হয়। তিনিও এক নারী, যিনি সিঙ্গাপুর ভ্রমণের সময় জিকা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরপর শনিবার পূর্বের প্রদেশ সাবাহতে একজন পুরুষ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। যিনি স্থানীয়ভাবে জিকা সংক্রমিত হয়েছেন বলে বিশ্বাস কর্মকর্তাদের। কারণ, গত কয়েকমাসে তিনি বিদেশ ভ্রমণ করেননি।

তবে গর্ভবতী ওই নারী স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন নাকি বিদেশে গিয়ে জিকার সংস্পর্শে এসেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গর্ভবতী ওই নারী ছয় মাস আগে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। আর তার স্বামী নিয়মিতই সেখানে যান। 

সুব্রামানিয়াম জানান, কর্তৃপক্ষ গর্ভবতী ওই নারীর বাসভবনের আশেপাশে বিস্তৃত এলাকা এবং সম্প্রতি তিনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন ওই সব এলাকা পরিদর্শন করেছে। ওইসব এলাকায় ব্যাপক হারে মশা নিরোধক ওষুধ ছিটানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহী জিকা ভাইরাস বিশ্বের ৬৭টি দেশে সনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ব্রাজিলে জিকা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে তেমন কোনও অসুবিধা না হলেও গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভের শিশু ছোট মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এই অবস্থাকে মাইক্রোসেফালি বলে।

মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এমনকি জন্মের পরপর তার মৃত্যুও হতে পারে।

জিকার সঙ্গে মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশু জন্মের সম্পর্ক এখনও সম্পূর্ণরূপে প্রমাণিত নয়।

তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায় এ দুটোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পাওয়া গেছে।