রাজধানী নিপিধোতে অনুষ্ঠিত এ শান্তি আলোচনায় ১৭টি গোষ্ঠী যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন শান্তি আলোচনা উদ্বোধন করেছেন।
আলোচনার মাধ্যমে নৃতাত্বিক গোষ্ঠীগুলোকে শুভবোধে উদ্ধুদ্ধ করে নিরস্ত্র করার মাধ্যমে প্রভাব বৃদ্ধি করার আশা করছে দেশটির গণতান্ত্রিক সরকার।
এ বৈঠকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহাসচিব বান।
সব গোষ্ঠীকেই আলোচনায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং এদের অধিকাংশই এতে যোগ দিয়েছে। কারেন, কাচিন, শান এবং ওয়া, এই গোষ্ঠীগুলো আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে।
গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করা ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান লক্ষ্য শান্তি নিশ্চিত করা বলে জানিয়েছেন সু চি।
১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এক সময় বার্মা নামে পরিচিত মিয়ানমার সহিংসতা কবলিত হয়ে আছে। দেশটির সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলোর কোনও কোনোটি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, আবার কোনও কোনোটি অধিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য।
দেশটির সাবেক সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার কয়েকটি নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছতে পারলেও সারা দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে কখনওই কোনো জাতীয় চুক্তির আওতায় আনতে পারে।