রাজধানী হারারতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
গেল দুই দশকে দেশটিতে এ ধরনের সহিংসতা আর ঘটেনি বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা গেছে।
বিরোধীদলীয় নেতারা ও তাদের শত শত অনুসারীরা প্রেসিডেন্ট মুগাবে ও ক্ষমতাসীন জেএএনইউ-পিএফ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এর এক পর্যায়ে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে সহিংসতা শুরু হয়।
ভাষণে মুগাবে বলেন, “তারা ভাবছে, যা হয়েছে তাতে দেশে একটি আরব বসন্ত হতে যাচ্ছে; কিন্তু আমরা তাদের বলতে চাই, এটা হতে যাচ্ছে না।”
ধারাবাহিক গণঅভ্যুত্থানে বেশ কয়েকটি আরব দেশের নেতার পতন হওয়ার পর ওই অভ্যুত্থানগুলো ‘আরব বসন্ত’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ উস্কে দেওয়ার জন্য মুগাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “তারা আমেরিকার জন্য লড়াই করছে।”
অর্থনীতি ভেঙে পড়া, নগদ অর্থের অপ্রতুলতা ও উচ্চ বেকারত্বের কারণে জিম্বাবুয়ে জনঅসন্তোষ বাড়ছে, এই অসন্তোষকে পুঁজি করে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির বিরোধীদলগুলো।
১৯৮০ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকে স্বাধীন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন ৯২ বছর বয়সী মুগাবে।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টায় পুলিশের অ্যাকশনের মুখে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা সড়কের পাশের বিপণীবিতানগুলোতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।