তুরস্কে পুলিশ সদর দপ্তরে ট্রাকবোমা হামলা, নিহত অন্তত ১১

তুরস্কের সিরনাক প্রদেশের কিজরে শহরে পুলিশ সদরদপ্তরে আত্মঘাতী ট্রাকবোমা হামলায় ১১ পুলিশ সদস্য নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 26 August 2016, 06:11 AM
Updated : 26 August 2016, 11:42 AM

প্রাদেশিক সরকারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, আহতদের মধ্যে তিন জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে (জিএমটি ০৪:০০) দাঙ্গা পুলিশের সদর দপ্তরের একটি চেকপয়েন্টে এ হামলা চালানো হয়। 

তাৎক্ষনিকভাবে হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

তবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম হামলার পেছনে কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) হাত রয়েছে বলে দাবি করেন।

ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে ইলদিরিম বলেন, “সিরনাক প্রদেশে হামলার দায় যে কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির(পিকেকে) সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

“সব জঙ্গি দলের বিরুদ্ধে তুরস্ক যুদ্ধ শুরু করেছে।”

টুইটারে উপপ্রধানমন্ত্রী নুমান কুর্তুলমুস বলেন, “ইসলামিক স্টেট, পিকেকে ও সিরিয়ান কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়ারা গত মাসে ব্যর্থ অভ্যূত্থান প্রচেষ্টার সুযোগ নিয়ে সারা দেশে হামলা চালাচ্ছে।”

বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল এনটিভি প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণস্থল থেকে ধোঁয়া উঠছে।বিস্ফোরণস্থলে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু-র খবরেও এই হামলার জন্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দায়ী করা হয়।

সিরিয়া ও ইরাক সীমান্ত সংলগ্ন সিরনাক প্রদেশটি কুর্দি অধ্যুষিত।

জুলাইয়ে সরকারের সঙ্গে পিকেকে-র অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর ওই অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো হামলা-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

পিকেকে-কে তুর্কি সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভূক্ত করে রেখেছে।

১৯৮৪ সালে কুর্দি স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পিকেকে-র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।