আন্সবাখ হামলাকারী ছিল ‘আইএসের অনুগত’

জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের আন্সবাখে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালনো সিরীয় আশ্রয়প্রার্থী এক ভিডিও বার্তায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 04:47 PM
Updated : 25 July 2016, 05:04 PM

বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম হারমান বলেন, নিহত ওই সিরীয় আশ্রয়প্রার্থীর ফোনে ভিডিও বার্তাটি খুঁজে পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, “সিরীয় ওই ব্যক্তির মৃতদেহের পাশে এবং তার বাসস্থানে তল্লাশি চালিয়ে দুইটি ফোন, কয়েকটি সিম কার্ড এবং একটি ল্যাপটপ পাওয়া গেছে।”

“ভিডিওতে ওই ব্যক্তি জার্মানির উপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।”

রোববার আন্সবাখে একটি সঙ্গীত উৎসবের বাইরে ২৭ বছর বয়সী এক সিরীয় আশ্রয়প্রার্থী আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়।

ওই ঘটনায় হামলাকারী নিহত এবং আরও ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানান হারমান।

পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর উৎসব স্থল থেকে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নিহত এই সিরীয়কে এক বছর আগে আশ্রয় দিতে অস্বীকার করেছিল জার্মান কর্তৃপক্ষ।

ওই ব্যক্তি এর আগে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানান হারমান।

তবে এবার সে যত বেশি সম্ভব মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন বাভারিয়া কর্তৃপক্ষ।

তার বাসস্থানে বোমা তৈরির আরও বেশ কিছু যন্ত্র ও উপাদান পাওয়া গেছে বলেও জানান তারা। ভিডিওটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান হারমান।

তিনি বলেন, “আমার ধারণা, প্রশ্নাতীতভাবে এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা এবং হামলা পরিকল্পনাকারী ইসলামপন্থি জঙ্গিদের প্রতিনিধি।”

এ ঘটনার পর জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মাইজিয়ের জনসমাগম স্থলে পুলিশ প্রহরা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গেল এক সপ্তাহের মধ্যে এটি জার্মানিতে সংঘটিত চতুর্থ সহিংসতার ঘটনা।

শুক্রবার মিউনিখে ইরান-জার্মানির দ্বৈত নাগরিক ১৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির গুলিতে নয়জন নিহত হন। মিউনিখের ঘটনার রেশ কাটার আগেই আন্সবাখের এ ঘটনা ঘটল।

আন্সবাখ হামলাকারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে সে দুই বছর আগে জার্মানিতে আসে। গত বছর তার আশ্রয়প্রার্থনার আবেদন বাতিল হয়ে যায় এবং তাকে শিগগির বুলগেরিয়া পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। বুলগেরিয়ায় শরণার্থী হিসেবে থাকার অনুমতি সে পেয়েছিল।

ইউরোপমুখী শরণার্থীদের অধিকাংশের লক্ষ্যই জার্মানিতে আশ্রয় পাওয়া।

গত বছর এক লাখ ৫৬ হাজার ৬২০ জন সিরীয় শরণার্থী জার্মানিতে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন করেছে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৩টি আবেদন বাতিল করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্যের কারণে আবেদনপত্র বাতিল করা হয়।